ঢালিউডের সিনিয়র নায়ক আলমগীর এবং নায়িকা দিতি জুটি বেঁধে একসঙ্গে পাঁচ ছবিতে অভিনয় করছেন। আগামীতে আলমগীর-দিতিকে আরো বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে।
এই মুহূর্তে আলমগীর ও দিতি এফ আই মানিকের ‘দুই পৃথিবী’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন। ছবিতে তারা দুজন চিত্রনায়িকা অহনার বাবা-মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। একই পরিচালকের ‘বিচার আমি করবো’ ছবিতে তারা দুজন শাকিব খানের বাবা মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করবেন। এই ছবির কাজ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষপ্রান্তে শুরু হবার কথা।
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পুবাইলে নজরুল ইসলাম খানের ‘প্রেমিক নাম্বার ওয়ান’ ছবিতেও আলমগীর ও দিতি অভিনয় করবেন বলে জানিয়েছেন ছবির পরিচালক। এর আগে তারা দুজন আরো দুটি ছবিতে কাজ করেছেন। ছবি দুটো হচ্ছে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ’ এবং শাহ আলম কিরণের ‘মাটির ঠিকানা’। এ ছবি দুটোর কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ‘দুই পৃথিবী’, ‘বিচার আমি করবো’, ‘প্রেমিক নাম্বার ওয়ান’ ও ‘মাটির ঠিকানা’ছবি চারটি প্রযোজনা করছে সন্ধানী কথাচিত্র। ‘হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ’ ছবিটি প্রযোজনা করছে মনসুন ফিল্মস।
প্রথমবার আলমগীর ও দিতি জুটি বেঁধে একসঙ্গে অভিনয় করেন সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে। সে ছবিতে অবশ্য আলমগীরের বিপরীতে শাবানা প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করলেও দিতি আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতেই অভিনয় করে দিতি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এই পাঁচটি ছবিতে অভিনয়ের আগে আলমগীর দিতি সর্বশেষ অভিনয় করেন নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘চার সতীনের ঘর’ ছবিতে। ছবিটি ২০০৫ সালে মুক্তি পায়। দুই প্রজন্মের দুই জনপ্রিয় তারকা আলমগীর ও দিতিকে নিয়ে একসাথে কাজ করা প্রসঙ্গে নির্মাতা এফ আই মানিক বলেন, নায়ক আলমগীর একটি প্রজন্মের এবং দিতি আরেকটি প্রজন্মের। দুটি প্রজন্মের মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরি করতেই তাদেরকে নিয়ে দুটি ছবি নির্মাণ করছি আমি।
নায়ক আলমগীরের সাথে বেশ কয়েকটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করা সম্পর্কে দিতি বলেন, বয়সই বলা হোক কিংবা ক্যারিয়ারের কথাই বলা হোক না কেন তিনি আমার অনেক সিনিয়র। সেই হিসেবে তার সাথে যখন প্রথম প্রথম কাজ করতাম তখন ক্যামেরার সামনে অনেক জড়তা কাজ করতো আমার মধ্যে। কিন্তু এখন সেই জড়তাটা অনেকটাই কমে গেছে। এখন অভিনয়ের জন্য আমাদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়াটাও ভালো।
বাংলাদেশ সময় ০০২০, জানুয়ারি ৩১, ২০১১