ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

সঙ্গীতে উত্তরাধিকার

বিপুল হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১

হলিউড ও বলিউডে প্রায়ই দেখা যায়, তারকা সন্তানেরা শোবিজে পায় বাড়তি মনোযোগ। বাবা-মায়ের দেখানো পথ ধরে অনেক সন্তানই এগিয়ে যায়, পৌঁছে যায় লাইম লাইটে।

তবে উত্তরাধিকার সূত্রেই শুধু সাফল্যের পায়রার নাগাল পাওয়া যায় না, এজন্য নিজেরও থাকতে হয় মেধা আর নিষ্ঠা। আমাদের শোবিজের বিভিন্ন শাখায় শিল্পীর উত্তরসূরি হয়ে এসেছেন বেশ কজন তারকা। সঙ্গীতে উত্তরাধিকার হিসেবে আসা তারকাদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। তাদের নিয়ে এবার বাংলানিউজের বিশেষ আয়োজন।


মোস্তফা জামান আব্বাসী ও ফেরদৌসী রহমান

ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের সুযোগ্য দুই সন্তান মোস্তাফা জামান আব্বাসী ও ফেরদৌসী রহমান। আব্বাস উদ্দিন প্রথম জীবনে আধুনিক-দেশাত্মবোধক, এমনকি উর্দুগান গাইলেও পল্লীগানেই বেশি সফলতা পান। বিশেষ করে ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালি আর মুর্শিদি গানে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। কাজী নজরুল ইসলাম আর জসীমউদদীনের অনেক ইসলামি গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। তার দরদী কণ্ঠের সুর আজও আছে লাখো মানুষের অন্তরে। ১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর এই অমর শিল্পী পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।

আব্বাস উদ্দিনের উত্তরাধিকার হিসেবে মোস্তাফা জামান আব্বাসী ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালি আর মুর্শিদি গান নিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে। নজরুল সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের একমাত্র কন্যা ফেরদৌসী রহমান পল্লীগীতি গাইলেও জোর দিয়েছেন উচ্চাঙ্গসঙ্গীত আর ক্লাসিক গানে। আধুনিক গানেও তিনি রেখেছেন বিশেষ অবদান। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রথম দিকের প্লে-ব্যাকে ফেরদৌসী রহমান ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এই ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত পরিবার থেকে বেরিয়ে আসা আরেক শিল্পী হলেন নাশিদ কামাল।

নিজ পরিবারের সঙ্গীত ঐতিহ্য সম্পর্কে ফেরদৌসী রহমান বলেন, সুরের মধ্যে আমাদের জন্ম। সুরের মধ্যেই আছি। আমার বাবা লোকসঙ্গীতের পেছনে জীবনের পুরোটা সময় ব্যয় করেছেন। আমাদের দিয়ে গেছেন শুদ্ধ সঙ্গীতচর্চার শিক্ষা। বাবার আদর্শ নিয়েই আমাদের পথ চলা। বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন বহু বছর আগে। তবু আজও গাইতে বসলে প্রায়ই আমার মনে হয়, বাবা বুঝি সামনে বসে আমার গান শুনছেন।

হামিন আহমেদ ও শাফিন আহমেদ

বাংলাসঙ্গীতের কিংবদন্তি সুরকার প্রয়াত কমল দাশগুপ্ত এবং বরেণ্য নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের সন্তান হামিন আহমেদ ও শাফিন আহমেদ। সুরস্রষ্টা কমল দাশ গপ্ত ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীত সাধনায় কাটিয়ে গেছেন সারাজীবন। অসংখ্য নজরুল সঙ্গীতের স্বরলিপি তিনি তৈরি করেছেন। নজরুল সঙ্গীতই কমল দাশগুপ্ত আর ফিরোজা বেগমের মধ্যে গড়ে তোলে জীবন-বন্ধন। উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নজরুল সঙ্গীতশিল্পীর মর্যাদা পেয়েছেন ফিরোজা বেগম। ১৯৭৪ সালে কমল দাশগুপ্ত মারা যান আর শিল্পী ফিরোজা বেগম নজরুল সঙ্গীতের মধ্যেই ডুবে আছেন।

হামিন আহমেদ ও শাফিন আহমেদের গান শেখার শুরুটা বাবা-মার কাছে হলেও তারা পাশ্চাত্য ঘরানা ব্যান্ড সঙ্গীতে নিজেদের মেলে ধরেছেন। এই দুই ভাইয়ের শিক্ষাজীবনের একটা বড় সময় কেটেছে লন্ডনে। ওয়েস্টার্ন মিউজিকের সঙ্গে সেই থেকে তাদের জানাশোনা। দেশে ফিরে তারা জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলসের কান্ডারী হন। ছোটভাই শাফিন আহমেদ ভোকাল আর বড় ভাই শাফিন আহমেদ লিডগিটারের দায়িত্ব পালন করে মাইলসকে গত দুই যুগ ধরে রেখেছেন স্বকীয় অবস্থানে। যদিও মাঝে দুই ভাইয়ের মনোমালিন্যের কারণে শাফিন আহমেদ অভিমান করে একবছর মাইলস থেকে দূরে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ফিরে আসায় আগের মতোই ঝলসে উঠেছে মাইলস।

কমল দাশগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের সন্তান হওয়ায় আমরা গর্বিত। বাবা-মার পথ হয়তো আমরা অনুসরণ করতে পারিনি। তারা এগিয়েছেন সঙ্গীতের একটি ধারায় আর আমার হাঁটছি আরেকটি ধারায়। তবু তাদের শেখানো সুরের পথেই আছি। বললেন বড় ভাই হামিন আহমেদ। তিনি বর্তমানে বান্ডদলগুলোর সম্মিলিত সংগঠন বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

শাফিন আহমেদ মাইলসের ভোকাল হলেও অডিওবাজারে তার গাওয়া একটি নজরুল সঙ্গীতের অ্যালবাম বেরিয়েছে। নজরুল সঙ্গীতে প্রতি নিজের আলাদা টান থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নিয়মিত না হলেও মাঝেমধ্যেই আমি নজরুল সঙ্গীত নিয়ে বসি। ভবিষ্যতে নজরুল সঙ্গীত নিয়ে আরো বড় ধরনের কাজ করার ইচ্ছে আছে।

ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী ও পঞ্চম

সুরের ভুবনের আজীবন পথচারী প্রয়াত শিল্পী মাহমুদুন্নবীর চার সন্তানের মধ্যে তিনজনই সঙ্গীতে খুঁজে নিয়েছেন আপন ঠিকানা। ফাহমিদা নবী আর সামিনা চৌধুরী আজ দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন প্রথম সারিতে। পঞ্চম ব্যান্ডসঙ্গীত নিয়ে আছেন। আধুনিক গানের শিল্পী মাহমুদুন্নবীর গাওয়া গান তার জীবদ্দশায় যেমন ছিল জনপ্রিয়, তেমনি তার মৃত্যুর ২০ বছর পরও জনপ্রিয়। ষাট ও সত্তরের দশকে এ দেশের সিনেমার গানে মাহমুদুন্নবী ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শিল্পী মাহমুদুন্নবীর আদর্শ নিয়েই এগিয়ে চলেছেন ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরী। আধুনিক গানের পাশাপাশি সিনেমার গানেও তারা কণ্ঠ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে অনেক প্রলোভন থাকার পরও এই দুই বোনকে কখনো নকল গান গাইতে দেখা যায়নি। গান নিয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন রিয়েলিটি শোতে বিচারক হিসেবে ফাহমিদা ও সামিনার সপ্রতিভ উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তাদের ছোট ভাই পঞ্চম দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন আর্ক ব্যান্ডের সঙ্গে। বর্তমানে সুরকার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চেষ্টা করছেন।

বাবা মাহমুদুন্নবীর স্মৃতিচারণ করে ফাহমিদা নবী বললেন, গানের যা কিছু জানি সবকিছুই বাবার কাছ থেকে শেখা। বাবা অন্য সব সাংসারিক ব্যাপারে বেশ উদাসীন থাকলেও আমরা গান শিখছি কিনা সেই ব্যাপারে সবসময় খোঁজখবর নিতেন।

সামিনা চৌধুরী বললেন, গানের মধ্যেই আমাদের জন্ম। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, আমাদের বাসায় যা কিছু আলাপ-আলোচনা হচ্ছে তার বেশির ভাগই গান নিয়ে। তখন থেকেই সঙ্গীতচর্চা আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের অংশ, আজও তাই আছে।

আগুন

বাবা গায়ক, সুরকার ও পরিচালক খান আতাউর রহমান আর মা নজরুল সঙ্গীতশিল্পী নিলুফার ইয়াসমীনের সুরের উত্তরাধিকারী জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আগুন। খান আতা ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি ছিলেন অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী। ২০০৪ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিলুফার ইয়াসমীন উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে তালিম নিলেও নজরুল সঙ্গীত তাকে সাফল্য এনে দেয়। নিলুফার ইয়াসমীনের দুই বোন ফরিদা ইয়াসমীন ও সাবিনা ইয়াসমীন দেশের প্রতিষ্ঠিত সঙ্গীত শিল্পী। ২০০৩ সালে ১০ মার্চ নিলুফার ইয়াসমীন মারা যান।

খান আতা আর নিলুফার ইয়াসমীনের একমাত্র ছেলে আগুনের সঙ্গীতে হাতেখড়ি বাবা-মার কাছে মুখ ফুটে কথা বলতে পারার সঙ্গে সঙ্গে। উচ্চাঙ্গ ও নজরুল সঙ্গীতচর্চা করলেও আগুন ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন আধুনিক গানে। নিয়মিত প্লেব্যাকেও তিনি অংশ নিচ্ছেন। বাবার মতোই আগুনও অভিনয় শুরু করেছেন। তবে চলচ্চিত্রে নয়, তাকে দেখা যাচ্ছে টিভিনাটকে। বর্তমানে আগুন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশের প্রস্তুতির মধে আছেন।

পারিবারিক ঐতিহ্য অনুসারে সঙ্গীতে আসা প্রসঙ্গে আগুন বললেন, যে পরিবারে আমার জন্ম সেখানে সঙ্গীতশিল্পী হওয়া ছাড়া আমার আর অন্য কিছু হওয়ার পথ ছিল না। আমি গর্বিত আমার বাবা খান আতাউর রহমান এবং মা নিলুফার ইয়াসমীনকে নিয়ে। তারা দুজনেই আজ নেই। তবু আমি গান গাওয়ার সময় তাদের উপস্থিতি উপলব্ধি করি।

বাপ্পা মজুমদার

সঙ্গীতজ্ঞ বারীণ মজুমদার  ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ইলা মজুমদারের সন্তান বাপ্পা মজুমদার। বারীণ মজুমদার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত নিয়ে সাধনা করে গেছেন। ভারত-উপমহাদেশে তার অনেক ছাত্রই আজ প্রতিষ্ঠিত সঙ্গীতশিল্পী। ২০০২ সালে তিনি প্রয়াত হয়েছেন। বারীণ মজুমদারের কাছে গান শিখতে এসে তার সঙ্গেই যৌথজীবনে জড়িয়ে পড়েন সঙ্গীতশিল্পী ইলা মজুমদার। এই দুই শিল্পীর সন্তান বাপ্পা মজুমদারের শিল্পী না হয়ে অন্য উপায় ছিল না।

ছোটবেলায় বাবা-মার কাছে ক্ল্যাসিক গানেই তালিম নিয়েছিলেন বাপ্পা মজুমদার। তবে দেশ-বিদেশের সব ধরনের গানই তিনি শুনতেন। দলছুট ব্যান্ড গঠন করে পান প্রথম পরিচিতি । অল্পসময়েই আধুনিক গান গেয়ে গড়ে তোলেন নিজের স্বতন্ত্র ইমেজ। এ মুহূর্তে দেশের তুমুল জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে বাপ্পা অন্যতম। সুরকার হিসেবে তৈরি করেছেন আলাদা ধারা । তার সুর করা গানে ক্ল্যাসিক আমেজ খুঁজে পাওয়া যায়।

সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে নিজের যা কিছু অর্জন তার সবকিছু বাবা-মার আশীর্বাদ বলে মনে করেন বাপ্পা মজুমদার। তিনি বলেন, বাবা আমাকে বলতেন যে কাজই করো না কেন, মন থেকে করবে। যদি গান করো, গানকে মনে করবে প্রার্থনা। বাবার এই কথা আজও আমার কানে বাজে। এই বাণী মনে রেখেই আমি গানে গানে ছুটে চলেছি।


আঁখি আলমগীর

চলচ্চিত্র নায়ক আলমগীর যে একজন শখের কণ্ঠশিল্পী তা অনেকেই জানেন। অভিনয়ে আসার আগে থেকেই তিনি গান গাইতেন। কিন্তু গায়ক না হয়ে তিনি হয়েছেন নায়ক। আঁখি জন্মের পর পরই আলমগীর  নিজের অপূর্ণ স্বপ্ন  মেয়ে মধ্য দিয়ে পূর্ণ করার স্বপ্ন দেখতেন। বড় হয়ে বাবার সে স্বপ্ন আঁখি পূরণ করেছেন। আঁখি আলমগীর খোশনূর একজন সুপরিচিতি গীতিকার।

আঁখি আলমগীর ছোটবেলা থেকেই গান শিখেছেন। ক্ল্যাসিক আর নজরুল সঙ্গীতে তালিম নিলেও পরে আধুনিক গানই তিনি পথ চলার অবলম্বন করেন। স্টেজ পারফরর্মেন্স করে আঁখি পেয়েছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। প্লে-ব্যাকেও তিনি নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন।

সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আজকের পরিচিতির পুরো কৃতিত্ব আঁখি আলমগীর তার বাবা-মাকে দিতে চান। তিনি বলেন, আমি সুন্দর করে গান গাইতে পারলে বাবা-মা খুশি হন। তাদের খুশি করার জন্যই যতটা সম্ভব মন দিয়ে গান শিখতাম। নতুন কোনো গান শিখলে তাদের না শোনালে ভালো লাগতো না। এভাবেই আমার শিল্পী হয়ে ওঠা।

হাবিব

‘এমন একটা মা দে না...’ বা ‘আগে যদি জানতাম...’ এমনই নতুনধারার গান দিয়ে সত্তরের দশকে চমক তৈরি করেছিলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। বাংলাদেশে পপগান বিকাশে তার রয়েছে অবদান। তিন দশক পর ফেরদৌস ওয়াহিদেরই যোগ্য সন্তান হাবিব ওয়াহিদ তৈরি করেছেন আরেক নতুন ধারা। প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের সুরের মিশ্রণে বাংলা গানকে এগিয়ে নিয়েছেন আরও একধাপ।

মজার ব্যাপার হলো, ফেরদৌস ওয়াহিদ এবং হাবিব দুজনই এখনো সমানে গান গাইছেন।   ফেরদৌস ওয়াহিদ মূলত কণ্ঠশিল্পী। হাবিব যদিও গানে কণ্ঠ দেন, তবে সুর করতেই বেশি পছন্দ করেন। ইদানীং ছেলে হাবিবের সুরে গান গাইছেন বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদ।

হাবিব সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা প্রসঙ্গে বললেন, আমি যদি ফেরদৌস ওয়াহিদের সন্তান না হতাম তাহলে গান যে কতটা ভালোবাসার জিনিস তা কখনো উপলব্ধি করতে পারতাম না। গানের প্রতি বাবার ভালোবাসাই আমার ভেতর চলে এসেছে। বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদ সম্পর্কে হাবিবের মন্তব্য, আমার বাবা যে মাপের গায়ক তার যোগ্য মূল্যায়ন এখনো পাননি।

আরো যারা

আমাদের চলচ্চিত্রের মিষ্টি গানের স্রষ্টা সত্য সাহা। তিনি প্রয়াত হবার পর তার ছেলে ইমন সাহা আত্মপ্রকাশ করেন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে। চলচ্চিত্রের গান নিয়ে এখন ইমন সাহা ভীষণ ব্যস্ত।

সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীর মেয়ে আলিফ আলাউদ্দিন। বাবার কাছেই সঙ্গীতে হাতেখড়ি আলিফ আলাউদ্দিনের। আলাউদ্দিন আলী চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করলেও আলিফ এখন পর্যন্ত অডিও ও স্টেজ পারফর্মেন্স নিয়ে আছেন।

সঙ্গীত পরিচালক রিপন খানের ছেলে হৃদয় খান। বাবার অনুপ্রেরণায় গানে হাতেখড়ি হয়। বাবা রিপন খানের স্টুডিওতে বসেই শিখে নেন সঙ্গীতের খুঁটিনাটি। প্রথম অ্যালবামের পর আজ তরুণপ্রজন্মের কাছে হৃদয় খান তুমুল জনপ্রিয়।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪১৫, জানুয়ারি ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।