ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

সারিকার সোনালী সময়

বিপুল হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১১

মৌ আর মোনালিসার পথ ধরে মডেলিংয়ে জোরালো পায়ে এগিয়ে চলেছেন সারিকা। মডেলিংয়ের মাধ্যমেই মিডিয়ায় এসেছিলেন তিনি।

তিন বছর শুধু মডেলিং নিয়েই ছিলেন। অভিনয়ে নাম লিখিয়েছেন বছর দেড়েক হলো। অন্যদের তুলনায় খুব অল্প সময়ে টিভিনাটকে তৈরি করেছেন চাহিদা। প্রস্তুতি নিচ্ছেন বড়পর্দায় নামার। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারের সোনালী সময়ে পা রেখেছেন সারিকা।

ঢাকা শহরের ব্যস্ত মোড়গুলোর আশেপাশে যদি একটু চোখ রাখা যায়, তাহলে সারিকাকে দেখতে পাবেন। নগরী নানা জায়গার অতিকায় সব বিলবোর্ডে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। কখনো মোবাইল ফোনের মডেল, কখনো বা ঘরোয়া নানা পণ্যের মডেল হিসেবে তাকে চোখে পড়বেই। মডেলিংয়ের মাধ্যমেই সারিকার শুরু, মডেলিং-ই তাকে করেছে সুপরিচিত। ২০০৬ সালে গাজী শুভ্র নির্মিত ডিজুসের বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে শোবিজে তার অভিষেক। এরপর হন অ্যারোমেটিক বিউটি সোপের মডেল। এই বিজ্ঞাপনে গ্ল্যামারাস পারফর্মেন্স তাকে নিয়ে আসে আলোচনায়। তারপর একে একে সিঙ্গার, নকিয়া, সাগুফতা প্রপারটিজ, কেয়া সোপ, এলিট মেহেদি, আমিন জুয়েলার্স, প্রাণ এবং বাংলালিংক সিরিজের বিজ্ঞাপন সারিকাকে পুরোপুরি মডেল হিসেবে পৌছে দেয় লাইম লাইটে।

মডেল হিসেবে সারিকা বর্তমানে এতোই জনপ্রিয় যে, একই সঙ্গে পাঁচটি জনপ্রিয় পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। একসঙ্গে চারটি বিজ্ঞাপনচিত্রে শুটিংয়ে কাজে খুব শিগগিরই প্রথমে ভারতে ও পরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন সারিকা। একটি প্রসাধনী সামগ্রীর জন্য এ চারটি জিঙ্গেলভিত্তিক বিজ্ঞাপন তৈরি করছেন ভারতের জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা সৌনক মিত্র।

মডেলিংয়ে আজকের এই অবস্থান গড়ে তোলা প্রসঙ্গে সারিকা বললেন, শোবিজে পা রাখার পর আমি কয়েক বছর শুধু  মডেলিং করেছি। পুরো মনোযোগ তাই মডেলিংয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যে পণ্যটির মডেল হচ্ছি, তার ধরন বুঝে অভিব্যক্তি প্রকাশ করার প্রতি সবসময় গুরত্ব দিয়েছি। চেষ্টা করেছি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার। মডেলিংটাকে মোটামুটি আয়ত্বে নিয়ে আসার পর অভিনয়ে আসি।

Sarikaটিভি নাটকে সারিকার হাতেখড়ি ২০০৯ সালে। ওই বছর আশুতোষ সুজনের পরিচালনায় রবীন্দ্র জয়ন্তীর বিশেষ নাটক ‘ক্যামেলিয়া’ অভিনয় করেন তিনি। নাটকটি প্রচারের পর পরই একের পর এক নাটকের অফার তার পিছু নেয়। কিন্তু অভিনয়ে পদার্পনের শুরুতে দেখে শুনে বুঝে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।

এ প্রসঙ্গে সারিকা বললেন,  টিভি নাটকে অভিনয়ে শুরুর পর বছর দেড়েক আমি কাজ করেছি সিলেক্টিভ কিছু নাটকে। আসলে সে সময়টা আমি আমার মডেলিং ক্যারিয়ার মজবুত করার প্রতি জোর দিয়েছি। একটা-দুটা নাটকে অভিনয় করতে করতেই অভিনয়ের প্রতি আলাদা টান জন্ম নেয়। আসলে অভিনয়টাই এমন যে, একটু একটু করতে গিয়ে এর প্রতি আসক্তি জন্মায়। আমি একটি নাটকে কাজ করে যখন আরেকটির অফার পেলাম। তখন মনে হলো আগামী কাজটি আরো ভালো করতে হবে। এখন তো মনে হয়, অভিনয় ছাড়া আমি বাঁচবো কী করে! সত্যি বলতে কি, এখন আমার মনে হয়, অভিনয় যেন নিজের রক্তের সাথে মিশে গেছে।

দেশের প্রথম সারির অনেক নির্মাতার নাটকে এরই মধ্যে সারিকার অভিনয় করা হয়ে গেছে। সারিকা অভিনীত জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে রয়েছে মোহন খানের ‘রাধা তুমি কার’, এস এ হক অলিকের ‘গেন্দুচোরা ও প্রেম কাহিনী’, অরুণ চৌধুরীর ‘রুমালী’,  হিমেল আশরাফের ‘প্রেমের বেদনা’, চয়নিকা চৌধুরীর ‘আহা বালিকা’ ও বিকেলে সোনা রোদ’, সাইফ চন্দনের `একটু বোকামি অনেকটা পাগলামী` প্রভৃতি। আগামী ঈদের প্রায় হাফ ডজন নাটকে অভিনয় করছেন সারিকা।

টিভিনাটকে অভিনয় করে সাফল্য পেয়েছেন, চলচ্চিত্রে আসছেন কবে? এ প্রশ্নের উত্তরে সারিকা বললেন, নাটকে অভিনয় শুরুর পর থেকেই অফার পাচ্ছি। কিন্তু নিজেকে আমি এখনই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের উপযোগী মনে করি না। কারণ চলচ্চিত্র একটি বিশাল ক্যানভাস। এ মাধ্যমে কাজ করতে গেলে অনেক শিখতে হয়। এখনও আমি শিখছি। টিভিনাটকের মাধ্যমে সেই অনুশীলন করছি। টিভিনাটকে অভিনয় করতে করতে যখন মনে হবে আমি চলচ্চিত্রের কাজের জন্য উপযুক্ত হয়েছি, তখন ভালো কোনো ছবিতে অফার পেলে কাজ করব।

বাংলাদেশ সময় ১৫৩৫, জুলাই ২১,২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।