ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

‘মুখ ও মুখোশ’-এর অভিনেতা আমিনুল হক আর নেই

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১১

দেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর অভিনেতা একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী আমিনুল হক আর নেই। ৩১ জুলাই রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকার উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ... রাজেউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি হৃদরোগ, ফুসফুসে সমস্যা ও বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

অসুস্থতা কারণে আমিনুল হককে গত তিন আগে কারণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনিত হয়। রোববার ভোরে হাসপাতালে তিনি তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে আমিনুল হক স্ত্রী পিয়ারী বেগম এবং একমাত্র সন্তান রবিউল আলমকে রেখে গেছেন। রবিউল আলম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত।

দেশীয় চলচ্চিত্রের একুশে পদক প্রাপ্ত কিংবদন্তী নায়ক । গত ১ জুলাই তিনি ৯২ বছরে পা দিয়েছিলেন। বিগত বেশ কিছুদিন যাবত তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত তিন আগে তার ফুসফুসে সমস্যাজনিত কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার শারীরিক অবস্থার অবনিত ঘটলে তাকে আর বাসায় নেয়া হয়নি। তাকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালেই তিনি তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে আমিনুল হক স্ত্রী পিয়ারী বেগম এবং একমাত্র সন্তান রবিউল আলমকে রেখে গেছেন। রবিউল আলম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত।

দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রথম যুগের অভিনেতা আমিনুল হকের মৃত্যুতে  চলচ্চিত্রাঙ্গনসহ দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। তবে আমিনুল হকের লাশ এফডিসিতে আনা হয়নি। এ প্রসঙ্গে আমিনুল হকের ছেলে রবিউল আলম বলেন, ইচ্ছে ছিলো বাবার লাশ তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে নেওয়ার। কিন্তু ঢাকা শহরে যানজটের যা অবস্থা তাতে লাশ দাফন করতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তাই পরিবারের সবার সম্মতিতেই বাবার লাশ এফডিসিতে নেয়া হয়নি। ’
উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের ১২ নং রোডের বাসারটেক জামে মসজিদে অর্থাৎ যে মসজিদে আমিনুল হক সবসময় নামাজ পড়তেন সেই মসজিদেই রোববার বাদ আছর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে উত্তরার ১২ নং সেক্টরের সিটি করপোরেশন  কবরস্থানেই আমিনুল হক কে দাফন করা হয়।
আমিনুল হকের জন্ম ১৯২১ সালের ১ জুলাই কোলকাতায়। ১৯৪৪ সালে শিশির কুমার ভাদুড়ীর নির্দেশনায় তার অভিনয়ে হাতেখড়ি। কলকাতার শ্রীরঙ্গন থিয়েটারে তার অভিনয় জীবন শুরু। ১৯৪৫ সালে কলকাতার বাবু প্রণব রায় রচিত ও বাবু ফণী বর্মন পরিচালিত ‘মন্দিও’ ছবিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৪৪-৪৬ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে প্রথম ডিভিশনে ফুটবল খেলতেন। দেশবিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন।

এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এর প্রথম ছবি ‘আকাশ আর মাটি’ তে তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর পরপর পাঁচটি ছবিতে নায়কের ভূমিকায় এবং পরবর্তীতে আরো প্রায় ত্রিশটি ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৬১সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত বুলবুল একাডেমি অব ফাইনি আর্টস (বাফা)-এর নাটক বিভাগের শিক্ষক হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্ম লগ্ন থেকে তিনি অভিনেতা, নাট্যকার এবং নিদের্শক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯১ সালে আমিনুল হক অভিনয়ের জন্য একুশে পদক লাভ করেন।
    
বাংলাদেশ সময় ১৮৪০, জুলাই ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।