ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

এবার শিল্পী সমিতিকে শাবনূরের চিঠি

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১১

শিডিউল সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার কারণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নায়িকা শাবনূরকে সমিতি অফিসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর আহ্বান জানালেও উপস্থিত হন নি। তিনি শিল্পী সমিতির সভাপতির কাছে পাল্টা অভিযোগ জানিয়ে চিঠি করেছেন।



ঢালিউডের নামি পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন তার ‘ভালোবাসা সেন্টমার্টিন’ ছবিতে শাবনূরের দেওয়া শিডিউল নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় শিল্পী সমিতির সহায়তা চান। একাধিকবার মৌখিক শিডিউল দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়া এবং সবশেষে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ৬ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত শাবনূরের লিখিত শিডিউল পাওয়ার পর পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন জানতে পারেন শাবনূর এই শিডিউলের আগেই আবার অস্ট্রেলিয়া চলে যাবেন। এ কারণে তিনি শিডিউলের নিশ্চয়তা চেয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মধ্যস্থতা কামনা করেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শাবনূরকে শিল্পী সমিতিতে ৩০ জুলাই উপস্থিত হওয়ার আহবান জানানো হয়। ‘ শাবনূর হাজির না হয়ে শিল্পী সমিতির সভাপতি বরাবরে পাল্টা চিঠি দিয়ে অভিযোগ করে লেখেন, পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন তার পরিচালিত ‘ভালবাসা সেন্টমার্টিনে’ ছবির জন্য ২০০৭ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে প্রায় ৫০ শিফট শিডিউল প্রদান করে, যা একটি ছবি সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট। বরং তিনি সেই সময় বিভিন্ন কারণে ছবির শুটিং সম্পন্ন করেননি। তার ব্যর্থতা সত্ত্বেও আমি তাকে বিভিন্ন সময় মৌখিক শিডিউল প্রদান করি। কিন্তু তিনি শিডিউলগুলো অপচয় করেন।

লিখিত বক্তব্যে শাবনূর বলেন, এরপর আবারও যখন ২০১১ সালে তিনি শিডিউল চান তখন আমি তাকে বিদেশ থেকে ফিরে ছবিটি শেষ করে দেয়ার কথা বলি। সেই অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের ৬ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত আরও ১৪ শিফট লিখিত শিডিউল প্রদান করি। অথচ তার আগেই তিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ছোটাছুটি শুরু করেছেন। আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না এখানে আমার অপরাধ কি? শিল্পী সমিতিতে পাঠানো চিঠিতে শাবনূর, ‘ভালবাসা সেন্টমার্টিনে’ ছবির জন্য দেওয়া শিডিউল ঠিক রাখবেন বলে আশ্বাস দেন।

শাবনূরের দেওয়া চিঠি প্রসঙ্গে পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, শাবনূরের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। ২০০৭ সালে শাবনূর যে শিডিউল দিয়েছিলেন আমি তা পুরো সদ্ব্যবহার করতে চেয়েছি। বরং শাবনূরের বিভিন্ন অজুহাতে বেশ কিছুদিন শুটিং করতে পারিনি।

শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, আমি কখনও কোন শিল্পীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। শাবনূর আগেও আমার ‘বাঙলা’ নামে ছবিতে অভিনয় করেছেন। তখন কোন সমস্যা করেননি। কিন্তু এই ছবির জন্যই তিনি নানাভাবে সমস্যা তৈরি করেছেন। মৌখিক শিডিউল দিয়ে বিদেশ চলে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, আমি শাবনূরের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করি নি।   তিনি আমাকে নতুন কযে যে শিডিউল দিয়েছেন আমি তার নিশ্চয়তা চেয়েছি। কারণ বিশ্বস্ত সূত্রে আমি জেনেছি, তার আবার বিদেশে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা। শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, শাবনূর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন  শিডিউল অনুযায়ী তিনি আমার ছবির কাজ করবেন। খুব ভাল কথা। আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু যদি তিনি শিডিউলের আগে বিদেশ চলে যান তাহলে আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করবো এবং প্রয়োজনে তার বিদেশ যাওয়া ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করবো।

বাংলাদেশ সময় ০১১৫, আগস্ট ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।