ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

অ্যান্টিবায়োটিক: কোর্স সম্পন্ন করুন

মোঃ দিদার খান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১১

বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রসার ঘটার ফলে অনেক রোগ যেমন আমরা জয় করতে পেরেছি, তেমনি কিছু অবহেলার ফলে  অনেক সময় রোগের সঠিক নিরাময় হয় না। বর্তমান আধুনিক যুগে কেউ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করেননি, এটা মনে হয় বিরল।

রোগ মুক্তির প্রয়োজনে কোনো না কোনো সময় আমরা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে থাকি।

অ্যান্টিবায়োটিক ও সাধারণ ওষুধ
অ্যান্টিবায়োটিক হচ্ছে এক ধরনের জীবাণু সৃষ্ট কোনো পদার্থ, যা শরীরে অন্য কোনো ক্ষতিকারক জীবাণুকে ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়।

শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে ক্ষতিকর জীবাণুদের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়। আমরা জানি এইসব ক্ষতিকর জীবাণু প্রতিকূল পরিবেশে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

ওই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যদি প্রতিকুল পরিবেশ তৈরি করে রাখা যায় অর্থাৎ অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ অব্যাহত রাখা যায়, তাহলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে জীবাণু ধ্বংস হয়েছে। এ জন্যই প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিকের নির্দিষ্ট সময়ের কোর্স রয়েছে।

আমরা বেশিরভাগ সময় যে ভুলটি করি তা হলো, অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পর সাময়িক উপশম হলেই কোর্স শেষ না করেই তা বন্ধ করে দিই। এই কাজ করলে আমাদের শরীরে মারাত্মক প্রভাব পরে। এর ফলে জীবাণুগুলো পুনরায় উজ্জীবিত হয় এবং ওই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধেই তারা প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে। পরবর্তীতে আমরা আবারও সেই রোগে আক্রান্ত হতে পারি। তখন ওই অ্যান্টিবায়োটিকটি এই রোগের জীবাণুদের আর ধ্বংস করতে পারে না।

অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স ঠিক মতো শেষ না করার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় মারাত্মক ক্ষতি হয়। আর তাই অবহেলা না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যথাযথ পরামর্শ করে অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স সম্পর্কে ঠিক মতো জেনে নিতে হবে এবং নিয়মমাফিক তা সেবন করতে হবে।

লেখক: নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগে অধ্যয়নরত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।