ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

মজার হালুয়া..

শারমীনা ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১১

‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাত’ হচ্ছে মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। এই রাতে মানব জাতির রিজিক ও সম্পদ নির্ধারণ করা হয় এবং আল্লাহতা’আলার রহমত ও দয়া বর্ষিত হয়।



ভাগ্য রজনী শবে বরাত চলে এলো। এ দিনের প্রস্তুতি নিশ্চয় নিচ্ছেন? আল্লাহর দরবারে ইবাদত করার পাশাপাশি চলবে,  বিভিন্ন মজার মজার সব খাবার রান্না।

আসুন কয়েক ধরনের হালুয়া তৈরির রেসিপি শিখে নিই:

desertছোলার ডালের হালুয়া

উপকরণ: ছোলার ডাল ২ কাপ, চিনি ৪ কাপ, দুধের ক্ষীরশা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, ঘি ১ কাপ, এলাচ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, দারচিনি ৪ টুকরা, পেস্তাবাদাম কুচি সিকি কাপ, কাজুবাদাম বাটা ২ টেবিল-চামচ। আমন্ড বাদাম বাটা ২ টেবিল-চামচ, ডিম ২টি, গোলাপ এসেন্স সামান্য।

প্রণালী: ডাল ধুয়ে তাতে দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে শুকিয়ে গেলে বাটতে হবে এবং চিনি ও ডিম দিয়ে মাখাতে হবে। চুলায় আধা কাপ ঘি গরম করে ডাল বাটা দিয়ে নাড়ুন। এরপর এলাচ গুঁড়ো ও গোলাপ এসেন্স দিয়ে দিন। হালুয়া জমাট বেঁধে এলে ক্ষীরশা, কাজুবাদাম বাটা, আমন্ড বাদাম বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ঘি মাখানো ডিশে ঢেলে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজার ছোলার ডালের হালুয়া। এবার, ওপরে পেস্তাবাদাম কুচি ছিটিয়ে ইচ্ছেমতো কেটে পরিবেশন করুন।

নেশেস্তার হালুয়া
উপকরণ
সুজি ২০৫ গ্রাম, পানি ৪ কাপ, ঘি আধা কাপ, চিনি আধা কেজি, গোলাপজল ১ চা চামচ, এলাচ ৩টি, দারুচিনি ২ সেমি ২ টুকরো, জাফরান আধা চা চামচ, লেমন ইয়েলো রঙ সামান্য।

প্রণালী
সুজি ২ কাপ, পানিতে ২ দিন ভিজিয়ে রাখুন। খুব গরমের দিন ৭-৮ ঘণ্টা পর রেফ্রিজারেটরে রাখবেন। ভিজানো সুজি হাত দিয়ে কচলান। কাপড়ে নিয়ে সুজি ছেনে মাড় বের করুন। মাড় ভালোভাবে বেরিয়ে আসলে একটি বাটিতে ১ কাপ পানি নিন। কাপড় থেকে সুজির দলা পানিতে রাখুন। হাত দিয়ে কচলান। মাড়টুকু ছেঁকে নিন। সুজির মাড়ই নেশেস্তা। হাঁড়িতে ঘি গলিয়ে এলাচ, দারুচিনি, চিনি দিয়ে একবার নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে নেশেস্তা, গোলাপজল, জাফরান ও রঙ দিয়ে নেড়ে মেশান। চুলায় দিয়ে মৃদু আঁচে অনবরত নাড়তে থাকুন। ধীরে ধীরে জমে আসবে। হালুয়ার মতো তাল বেঁধে চকচকে দেখালে এবং ঘি বের হলে নামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে থালায় ঢেলে সমান করুন। ঠাণ্ডা হলে পেস্তা, বাদাম দিয়ে সাজিয়ে নিন।
desert
নারকেলের বরফি

যা যা লাগবে
কুরানো নারিকেল ২টি বেটে নিতে হবে। গুঁড়ো দুধ : ২০০ গ্রাম, এলাচ গুঁড়ো : ১ চা চামচ, চিনা বাদামের গুঁড়ো : ২টি, চিনি : দেড় কেজি, ঘি : ২৫০ গ্রাম।

যেভাবে তৈরি করতে হবে
প্রথমে একটি পাতিলে ঘি গরম করে তাতে এলাচের গুঁড়ো, নারিকেল বাটা, চিনি, দেড় কাপ বাদামের গুঁড়ো এবং গুঁড়ো দুধ দিয়ে একসাথে মিশ্রিত করে মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন নিচে পুড়ে না যায়। নাড়তে নাড়তে যখন মিশ্রণটা আঠালো হবে তখনই সেটি একটি ট্রেতে ঘি লাগিয়ে ঢেলে সাথে সাথে হাত দিয়ে সমান করে উপরে বাদামের কুঁচি ও কিছু গুঁড়ো দুধ ছিটিয়ে চারকোণা করে কেটে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ডিশে রেখে পরিবেশন কারন।


Egg desertডিমের হালুয়া
উপকরণ
ডিম ৮টি, চিনি পৌনে ২ কাপ, দুধ ঘন ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২ সেমি ২ টুকরো, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ, জাফরান সামান্য।

প্রণালী
গোলাপজলে জাফরান আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ডিম কাঁটা চামচ দিয়ে ফেটে দিন। সব উপকরণ একত্রে মেশান। মৃদু আঁচে চুলায় দিয়ে নাড়তে থাকুন। খুব সাবধানে নাড়তে হবে যেন তলায় না লাগে। ডিম জমাট বেঁধে মিহিদানার মতো হবে। পানি শুকিয়ে ঘি বের হলে চুলা থেকে নামিয়ে নাড়–ন। বেশিক্ষণ ভাজলে হালুয়া শক্ত হয়ে যাবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে উপরে মাওয়া, বাদাম কুচি দিয়ে সাজানো যায়।

ময়দার হালুয়া
উপকরণ
চিনি দেড় কাপ, পানি পৌনে এক কাপ, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ, ময়দা ২ কাপ, ঘি আধা কাপ, এলাচ ২টি, দার“চিনি ২ সেমি ২ টুকরো ও লবঙ্গ ১টি।

যেভাবে করবেন
পানিতে চিনির সিরা করে ছেঁকে নিন। গোলাপজল মেশান। ঘি গলিয়ে ময়দা ও গরম মসলা দিয়ে বাদামি রঙ করে ভেজে নামান। ফুটানো সিরার অর্ধেকটা ময়দায় দিয়ে কাঠের চামচ দিয়ে ফেটুন। বাকি সিরা মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফেটুন। মসৃণ হলে হালুয়া প্লেটে ঢেলে সমান করুন (হালুয়া প্লেটে ঢালার আগে চুলায় দিয়ে ২ মিনিট নেড়ে নামাতে পারেন)।

desertচালকুমড়ার হালুয়া
উপকরণ
পাকা চালকুমড়া সেদ্ধ ২ কাপ, চিনি দেড় কাপ, ঘি কোয়ার্টার কাপ, দারুচিনি ২ সেমি ২ টুকরো, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ।

প্রণালী: চালকুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করুন। বিচিসহ নরম অংশ কেটে বাদ দিন। শক্ত অংশ স্লাইস করে সেদ্ধ করুন। পানি ঝরিয়ে বেটে দু’কাপ মেপে নিন। চালকুমড়া, চিনি, ঘি, দারুচিনি ও জাফরান একসঙ্গে মিশিয়ে চুলায় দিন। পানি শুকিয়ে গেলে নেড়ে নেড়ে কষাতে থাকুন। গোলাপজল দিয়ে হালুয়া কষান। পানি টেনে হালুয়ার মতো হলে নামান।

এবার রেসিপি অনুযায়ী তালিকা করে, সময় থাকতেই  সব উপকরণ এনে রাখি। যেন রান্নার সময় এটা পাচ্ছিনা, ওটা আনতে ভুলে গেছি, এ ধরনের বিড়ম্বনায় না পড়তে হয়, কেমন?

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।