ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

যেতে ইচ্ছে করছে স্বপ্নের জগতে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১২
যেতে ইচ্ছে করছে স্বপ্নের জগতে?

ব্যস্ত নাগরিক জীবনে একঘেঁয়ে ভাব কাটিয়ে ফুরফুরে মেজাজে কাজ করার অনুপ্রেরণা পেতে এবং কিছুক্ষণরে জন্য হলেও ব্যস্ততা ভুলে নির্মল আনন্দে মেতে উঠতে আমরা যেতে পারি ঢাকার অদূরে সাভারে বাংলাদেশের বৃহত্তম পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র নন্দন পার্ক।

দর্শনার্থীদের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পার্ক কর্তৃপক্ষ সংযোজন করেছে বিভিন্ন রোমাঞ্চকর রাইড।

এর মধ্যে অন্যতম ফাইভ-ডি মোশন চেয়ার থিয়েটার। যা কিনা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের এক নবতর সংযোজন, এটি আমাদের দেবে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা!

আমরা অনেকেই হয়তো থ্রি-ডি সিনেমার সাথে পরিচিত। ফাইভ-ডি মোশন চেয়ার থিয়েটার থ্রি-ডি সিনেমার চাইতে উন্নততর এক প্রযুক্তির সমন্বয়। ফাইভ-ডি সিনেমায় বিশেষ চশমা পরিহিত অবস্থায় আপনার মনে হবে ছবির চরিত্রগুলো পর্দা থেকে বেরিয়ে আসছে কিংবা চরিত্রগুলো আপনাকে ঘিরে আছে।

ফাইভ-ডি মোশন চেয়ার থিয়েটারে আপনিও হবেন ফাইভ-ডি সিনেমার অংশ। এখানে বসার চেয়ারটি বিশেষভাবে সংযোজিত, যা নির্দিষ্ট ধারায় ছবির কাহিনীর সাথে তাল মিলিয়ে নড়াচড়া করবে। অর্থাৎ এখানে আপনি সিনেমার গল্পের সাথে সক্রিয় চরিত্র হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন-যেমন ফাইভ-ডি মোশন চেয়ার থিয়েটারে যদি কোন গাড়ির রেস বা প্রতিযোগিতা থাকে, তাহলে সেই রেসে আপনি শুধু দর্শক হবেন না বরং হবেন একজন সক্রিয় প্রতিযোগী এবং সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বিষয় হলো, সিনেমার আবহ অনুযায়ী বাতাস-পানি-বৃষ্টি-ধোঁয়া-স্পর্শ ইত্যাদি বিষয় আপনি সরাসরি অনুভব করতে পারবেন। এসব চমৎকার ও অভিনব বিষয়ের সংযোজন ফাইভ-ডি মোশন চেয়ার থিয়েটার প্রযুক্তিকে করে তুলেছে অনন্য সাধারণ।

ফাইভ-ডি মোশন চেয়ার থিয়েটার রাইডটি দর্শক সাধারণের জন্য চালু রয়েছে। প্রতি শো-য়ের মেয়াদকাল ১২-১৫মিনিট। শো-হলের আসন সংখ্যা ৩২। সারাদিন প্রায় ১২০০-১৫০০ দর্শনার্থী এই রাইডটি উপভোগ করতে পারবেন।

ফাইভ-ডি মোশন চেয়ার থিয়েটার ছাড়াও পার্কটিতে অনেক এক্সাইটিং রাইডের মধ্যে রয়েছে ওয়াটার ওয়ার্ল্ড যার কথা না বললেই নয়।

ড্রাই পার্ক শেষ করে আপনাকে যেতে হবে ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে। ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের সবগুলো রাইডই রোমাঞ্চকর। বড় তিনটা রাইড। দুইটা রাইডে ওপর থেকে প্লাস্টিকের টায়ারে করে আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে দ্রুত গতিতে গড়িয়ে পানিতে পড়ে। আরেকটা রাইডে শুয়ে শুয়ে গড়িয়ে পড়ে।

ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর হচ্ছে সুইমিংয়ের পানিতে যে ঢেউ দেওয়া হয়। ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে অনেকক্ষণ ধরে আনন্দ করে এসে শামীম জানালো ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে ইচ্ছেমতো ভিজে এখনো কক্সবাজারে যেতে না পারার দু:খ কিছুটা হলেও কমলো।

কী বন্ধুরা, নিশ্চয় যেতে ইচ্ছে করছে দারুণ এই স্বপ্নের জগতে? চাইলে সঙ্গীসহ একদম ফ্রি ঘুরে আসতে পারবেন এবং সব রাইডও উপভোগ করতে পারবেন বাংলানিউজের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবস কুইজে অংশ নিয়ে।

বাংলানিউজের বিজয় দিবসের কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন.

বেশি বেশি কুইজের উত্তর পাঠিয়ে লটারির মাধ্যমে জিতে নিন থিম পার্ক নন্দনের টিকেট।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।