ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বড়দিনের উপহার

যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১২
বড়দিনের উপহার

বছর ঘুরে বর্ণিল সাজে এসেছে খ্রিস্টান ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এদিন জন্মগ্রহণ করেন।

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই সত্যকে সমনে রেখে চারদিকে চলছে বড়দিন উদযাপনের সব রকম প্রস্তুতি।

আর উৎসবের আনন্দ বেড়ে যায় উপহার পেলে। উপহার মানেই একটু অন্যরকম ভালোলাগা, ভিন্ন স্বাদের অনুভূতি। নগরীর অভিজাত গিফট শপ আর শপিংমলগুলো সেই সঙ্গে কিছু ফ্যাশন হাউস ঝলমল করছে নানা উপহার সামগ্রীতে। আর প্রিয় মানুষটিকে প্রিয় জিনিসটি উপহার দেওয়ার জন্য ভীড় বাড়ছে বিপণী বিতানগুলোতে। চলুন জেনে নেয়া যাক, ক্রিসমাসকে সামনে রেখে কি কি গিফট আইটেম পাওয়া যাচ্ছে এসব শপিংমল বা গিফট শপগুলোতে।

আধুনিক এই শহরে গিফট শপগুলোতে বরাবরই মানুষের আনাগোনা বেশি। উৎসব মানেই আনন্দ। আর উৎসবের আনন্দটা সবচেয়ে বেশি মনে হয় শিশুদেরই। তাই গিফট শপগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। শিশুদের জন্য রয়েছে খেলনা, পুতুল ডেকোরেশন পিস আরও কত কি!

নিউমার্কেটের আর্চিস গ্যালারিতে বড়দিনের উপহার হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে কার্ড ঘণ্টা, ছোট বল, বিভিন্ন সাইজের রঙিন পুতুল, চকলেট বক্স, মগ, ছবির ফ্রেম, চাবির রিংসহ নানা উপহার। আর উপহার আরও বেশি সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সাইজ, ডিজাইন, রঙের মোড়ক এবং গিফট বক্স। এছাড়া হলমার্কস, গিফট গ্যালারি ঘুরেও বড়দিনের বর্ণিল আয়োজন দেখা যাচ্ছে।

হাতিরপুলের হলমার্কের ২য় তলায় রয়েছে হাজার হাজার মরিচাবাতি ও ডেকোরেশনের সামগ্রী। এছাড়াও বড়দিনের অনুষ্ঠানকে আরও বেশি আনন্দঘন করতে এসব গিফট শপে পাবেন বড়দিনের বিশেষ বেলুন ও পার্টি স্প্রে।

গিফট শপগুলোর পাশাপাশি নগরীর অভিজাত শপিংমল যেমন, বসুন্ধরা, সীমান্ত স্কয়ার, মেট্রোশপিংমল, মাসকট

প্লাজাসহ অন্যান্য শপিংমলের বেশিরভাগ মার্কেটে গেলেই চোখে পড়ে লাল-নীল মরিচাবাতিসহ ক্রিসমাস ট্রি।

দেশীয় সংস্কৃতিকে নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে তৎপর দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো। ক্রিসমাস ট্রি সেই সঙ্গে সান্তাক্রুজ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ফ্যাশন হাউস যাত্রায় পাবেন বড়দিনের নানা উপহার সামগ্রী। সান্তাক্রুজ, কাপড়, পুঁতি দিয়ে বানানো বিভিন্ন সাইজের ডোরবেল, ছোট-বড় বল। প্রিয়জনকে উপহার দেয়ার জন্য রয়েছে হাতে তৈরি কার্ড আর রঙ-তুলিতে আঁকা কারুকার্যময় খাম।

প্রতিবছরের মতো এবারও আড়ং তাদের ব্যতিক্রম উপহার সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছে। উপহারগুলোর মধ্যে অন্যতম হল সোনালি আর রুপালি ফুল দিয়ে সাজানো ডেকোরেটিভ হারিকেন। এছাড়া প্লাস্টিকের ফুল, পাটের দড়ি দিয়ে ঘণ্টা, বিভিন্ন রঙ, ডিজাইন ও সাইজের মোমবাতি। উপহারের তালিকায় ভিন্নমাত্রা যোগ করতে এসব মোমবাতির তুলনা নেই। এগুলোর পাশাপাশি জুয়েলারি বক্স, আয়না, ছবির ফ্রেম পাবেন ফ্যাশন হাউসগুলো থেকে।

বড়দিনের সাজ-সজ্জার কেন্দ্রে যে ক্রিসমাস ট্রি থাকে, সেটিও চাইলে উপহার হিসেবে দিতে পারেন। পাবেন নিউমার্কেটের নিচতলায়।

দরদাম : বিভিন্ন গিফট শপ ও ফ্যাশন হাউসগুলোতে বিভিন্ন ডিজাইনের কার্ডগুলো পাবেন ৪০-৪৫০ টাকা, বড় সাইজের সান্তাক্রুজ টুপি ৪০০-৬০০ টাকা আর ছোটদের জন্য সান্তাক্রুজ টুপি ১৮০-২৫০ টাকা। নানা ধরনের পুতুল ১৫০ থেকে ৩৫০০ টাকা। ফটোফ্রেম ১৫০-২০০০ টাকা, ছবির অ্যালবাম ২০০ থেকে ২৫০০ টাকা, ব্রেসলেট ১৫০-১৪০০ টাকা, পায়েল ২২০-৭০০০ টাকা, মানিব্যাগ ৪৫০ থেকে ২৫০০ টাকা। সান্তাক্রুজ বড়দের পোশাক ১৫০০-৩৫০০ টাকা আর ছোটদের ১০০০-২০০০ টাকা। রঙ-বেরঙের মোমবাতি ৮০-৮৫০ টাকা।

বড়দিনের আনন্দ উদযাপনে প্রিয় মানুষটিকে পছন্দের পোশাকও কিনে দিতে পারেন। তরুণ তরুণীর পছন্দের ওয়ের্ষ্টান ডিজাইনের পোশাকের জন্য সবার মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বসুন্ধরা সিটির ফ্যাশন হাউস ডোর’স। এখানে  পোশাকের পাশাপাশি জুয়েলারি, ব্যাগ, জুতা, ওয়ালেটসহ প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই পেয়ে যাবেন।

মডেল: রিফাত, ফিটন খান ও ঐশি
পোশাক: ডোর’স
মেকআপ: ওমেন্স ওয়াল্র্ড
ছবি: নূর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।