ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ারও পরিবর্তন হয় আমাদের দেশে। এই পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে আমাদের মনে, দেহে, চুলে সব জায়গাতেই।
এসময়ে চুলের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের অন্যতম পরিচালক রূপ বিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলম।
চুল সুন্দর রাখতে আমাদের যা করতে হবে:
সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করতে হবে রাতে ভাল করে তেল ম্যাসাজ করুন।
চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, রোদে পোড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে হলে চুল ট্রিম করিয়ে নিন
চুল ছোট না করতে চাইলে টুপি ব্যবহার করতে পারে, স্কার্ফ বা ক্লিপ দিয়ে চুল বেধেও রাখতে পারেন
তবে বেশি টাইট করে চুল বাধবেন না
খেয়াল রাখবেন চুলের মধ্যে যেন হাওয়া চলাচল করতে পারে।
ধুলো-ময়লা জমে অনেক সময় চুল নিস্তেজ হয়ে যায়। অলিভ অয়েল, নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে মেথি পেস্ট মিশিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন, চুল ঘন ও উজ্জ্বল থাকবে।
দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
দুই ভাগ অলিভ অয়েল, এক ভাগ মধু মিশিয়ে পুরো চুলে লাগান। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে চুল শ্যাম্পু করে নিন। এভাবে অলিভ অয়েলের সঙ্গে কলা চটকেও চুলে দিতে পারেন।
চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের কন্ডিশনার লাগান।
চুলের জন্য জোজোবা অয়েল খুব উপকারী। নিয়মিত চুলের ডগায় জোজোবা অয়েল লাগালে চুল নরম হয়। বড় কসমেটিক স্টোরে জোজোবা ওয়েল পাওয়া যায়।
বাইরে বেরোনোর সময় চুল বেঁধে রাখুন। বাইরের রোদ ময়লা থেকে অনেক খানি রক্ষা পাবেন।
নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন, চুলের জন্য শ্যাম্পু নয়, ক্ষতিকর হচ্ছে ময়লা
সপ্তাহে অন্তত দুই দিন চুলে তেল দিন
সারারাত তেল রাখতে না চাইলে অন্তত দুই ঘণ্টা রাখুন শ্যাম্পুর পর অবশ্যই ভালো কোনো কন্ডিশনার লাগিয়ে ২ থেকে ৪ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর পানি দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে নিন।
চুলে যতটা সম্ভব হিট দেওয়া, আয়রন করা এবং কেমিক্যাল জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার কম করুন ।
চেষ্টা করুন সপ্তাহে একদিন চুলের বাড়তি একটু যত্ন নিতে
টক দই চুলের জন্য খুব ভালো। সঙ্গে একটি ডিম ও একটি লেবুর রস মিলিয়ে চুলে দিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন ।
যদি চুল পড়া শুরু হয়, তাহলে মেহেদি, পেঁয়াজের রস ও টক দই লাগান। কয়েক দিনের মধ্যেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
চুলের পরিচর্যার পাশাপাশি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যসম্মত ও কম তেল-মশলাদার খাবারের দিকে নজর দিন।
একসঙ্গে সব কিছু করা হয়তো শুরুতে বেশ ঝামেলার ব্যাপার মনে হবে। ধীরে ধীরে অভ্যাস করুন, দেখবেন আপনি খুব সহজে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। এগুলো আপনার অজান্তেই দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে যাবে।