ঢাকা: চৈত্রের মাঝামাঝি, তবে ক’দিন ধরে হঠাৎ বৃষ্টির জেরে বইছে শীতল হাওয়া। আবহাওয়া নিঃসন্দেহে উপভোগ্য তবে এ মৌসুম যেনো আপনাকে অসুস্থতায় না ফেলে সেজন্য কিছু সতর্কতা প্রয়োজন।
ব্যাগে ছাতা ও তোয়ালে রাখুন
যেহেতু হুটহাট বৃষ্টি নামছে তাই সঙ্গে তোয়ালে ও ছাতা বা রেইন কোট রাখুন।
হাত ও মুখ পরিষ্কার রাখুন
বাইরে থেকে ফিরে প্রথমেই হাত ধুয়ে নিন। ব্যাগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ওয়েট টাওয়েল রাখুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ওয়েট টাওয়েল দিয়ে মুখ মুছে নিন। কারণ ফ্লু ভাইরাস আমাদের চোখ, নাক ও মুখের ভেতর দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। পাশাপাশি হাতও পরিষ্কার রাখুন কারণ, হাতের মাধ্যমে ঠাণ্ডা, কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণু ছড়ায়।
চুল
বৃষ্টিতে চুল ভিজলে বাড়ি ফিরে অবশ্যই শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পু করার সময় ঈষৎ গরম পানি দিয়ে স্কাল্প ম্যাসাজ করুন। ধোয়ার পর হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুলে ঘুমাতে যাবেন না।
উষ্ণ জলে স্নান
বৃষ্টির দিনে স্নান করাটা খুবই জরুরি। বৃষ্টিতে ভেজার পর উষ্ণ পানিতে স্নান নিতে হবে। স্নানের পানিতে অ্যান্টিসেপটিক বা অ্যান্টিসেপটিক সোপ ব্যবহারে করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার
আবহাওয়া যেহেতু একটু ঠাণ্ডা সেহেতু ভেজিটেবল স্যুপ খেতে পারেন ও খাবারে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল রাখুন। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফ্লু ও ইনফেকশন হতে দেয় না। টানা বৃষ্টির দিনগুলোতে ফল ও শাক-সবজি ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া উচিত। এগুলো ধোয়ার সময় পানিতে লবণ ব্যবহার করুন।
হারবাল ডোজ
হারবাল চায়ে রয়েছে থিরাপিউটিক ইফেক্ট যা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। কাকভেজা হয়ে অফিস পৌঁছেছেন? দ্রুত হারবাল চা বানিয়ে নিন। লবঙ্গ, দারুচিনি, পুদিনা, আদা দিয়ে তৈরি চা আপনার শরীরকে উষ্ণ ও রোগমুক্ত রাখবে।
ঘর ও মেঝে
এসময় ঘর যতোটা সম্ভব পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখতে চেষ্টা করুন। ঘর ও বাথরুমের মেঝে জীবাণুমুক্ত রাখুন। সময়মতো ইনসেক্ট কিলার ও অ্যারোসল ব্যবহার করুন।
জুতো
বৃষ্টির সময় পা ঢেকে থাকে এমন জুতো পরা উচিত। কাদা-পানি লেগে নখে ময়লা জমতে পারে যা থেকে হতে পারে ইনফেকশন। এসময় পায়ের যত্ন নেওয়াও জরুরি। বাইরে থেকে ফিরে গরম পানি ও লবণ দিয়ে পা পরিষ্কার করুন।
বাড়তি কাপড়
সঙ্গে একসেট বাড়তি কাপড়, তোয়ালে, জুতো ও গরম কাপড় রেখে দিন। প্রয়োজনে যেনো কাজে লাগে।
ভালো থাকুন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৬
এসএমএন/এসএনএস