ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বাংলা ও বাঙালির শাড়ি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৬
বাংলা ও বাঙালির শাড়ি

ঢাকা: শাড়ি শুধু পরিধেয় বস্ত্রই না, শাড়ি বাঙালি জাতির এক গৌরবময় সংস্কৃতির প্রতীক। প্রাচীনকাল থেকে এদেশের বর্ণিল, সূক্ষ্ম ও বাহারি শাড়ির খ্যাতি জগৎবিখ্যাত।

 

এসব শাড়ি যেন এক একটি ক্যানভাস, এক একটি শিল্পকর্ম। মসলিন, বেনারশী, জামদানিসহ নানা ধরনের শাড়ি বাঙালি সংস্কৃতির নান্দনিকতার পরিচয় বহন করে সব সময়।

শিল্পী কিবরিয়ার ‘বাংলার শাড়ি বাঙালির শাড়ি’ প্রদর্শনী, এদেশের শাড়ির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার ব্যতিক্রমী এক প্রয়াস।

বাটিক ও হ্যান্ড পেইন্টের মাধ্যমে শাড়ির জমিনে কিবরিয়া তার নিপুণ হাতে যে নকশা ফুটিয়ে তুলেছেন তা চিত্রকর্মের বিচারে খাটো করে দেখারও কোনো সুযোগ নেই।
 
শিল্পী শাড়ির গায়ে তার সুকুমার বৃত্তিতে ফুটিয়ে তুলেছেন লোক ঢং, আলপনার নকশা, জ্যামিতিক রেখাচিত্রসহ নানান ধরনের নকশা। বিগত এক বছর ধরে তাঁত ও টাঙ্গাইলের এক হাজারটি শাড়িতে বাটিক, মোম, বুটিক ও রং তুলির আঁচড় দিয়ে শিল্পী কাজী গোলাম কিবরিয়া একটি সাধারণ সাধারণ শাড়িকে করে তুলেছেন মোহনীয়। শিল্পীর নিপুণ হাতের ছোঁয়া পাওয়া এসব শাড়ি এপ্রিলের প্রথম দিন থেকে প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায়। চলবে পাঁচ এপ্রিল পর্যন্ত।

প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া সহস্র শাড়ির প্রত্যেকটিই ভিন্ন ভিন্ন নকশার, একটির সঙ্গে আরেকটিকে মিলবে না। শিল্পীর মেধা ও শ্রম সাধ্য কর্মের ফল এসব শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। বিখ্যাত চিত্রকর্মও হরহামেশাই বাজারে বিকোয়। সুতরাং নকশাকরা একটি অনন্য শাড়ি কেউ শিল্পকর্ম বা পরিধেয় বস্ত্র হিসেবেও সংগ্রহ করতেই পারে।

শিল্পগুণে সমৃদ্ধ এসব শাড়ি চিত্রকর্মের মত ব্যয়বহুল নয়, মূল্য নির্ধারিত হয়েছে দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। সর্বোপরি শাড়ি বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটা অংশ (দশ শতাংশ) দান করা হবে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায়।
 
এ প্রসঙ্গে শিল্পী কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শাড়িগুলো বিক্রি বা কোনো বুটিকসে হাউজে দিয়ে অর্থ উপার্জন আমার উদ্দেশ্য না। এখানে পাঁচ দিন থাকবে, এর মধ্যে কেউ যদি পছন্দ করে একটা শাড়িও নেয় তা থেকে যে অর্থ আসবে তা থেকে একটা অংশ ক্যান্সার আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হবে। শুধু আর্টিস্ট নয়, মানুষ হিসেবে সমাজের প্রতি এটা আমার দায়িত্ব।
 
শিল্পীর অভিনব চিন্তা চেতনা থেকে সৃষ্ট নকশা সমৃদ্ধ এসব শাড়ি শিল্পগুণে যেমন অনন্য, তেমনি উৎসব কিংবা পূজা পার্বণে- ছোট কিংবা বড় যেই এ শাড়ি গায়ে জড়াক জুড়াবে তার মন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৬
এইচআর/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।