পবিত্র রমজান মাস শুরু হলো। পরিবারের ছোট-বড় সবাই রোজা রাখবেন।
তামান্না চৌধুরী বলেন, রোজার মাসে তিনভাবে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। প্রথমত আমাদের খাবারে ব্যালেন্সিং করে, দ্বিতীয়ত খাবারের মডারেশন করে, তৃতীয়ত খাবারের ডিরিগেশন করে।
রোজার মাসে সুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোজায় আমরা ইফতারের সময় হালিম না খেয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পরিমাণমতো হালিম খেতে পারি। ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবারের ভিন্নতা থাকতে হবে। যেমন আজ যদি কেউ ইফতারে বেগুনি রাখেন পরের দিন পেয়াজু রাখবেন। প্রতিদিনই ইফতারে কয়েকটি খেজুর রাখতে হবে। এতে সারাদিনের ক্লান্তি খুব সহজেই দূর হবে।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা ডাব কিনে খেতে পারি না সে ক্ষেত্রে ইসুপগুল বা বেলের শরবত খাওয়া যেতে পারে। ইফতারের পরে চিনি ছাড়া যে কোনো ফলের জুস খেলে পেট ঠাণ্ডা থাকবে। এছাড়া ছোলাতে শশা, টমেটো মাখিয়ে খেলে তা হবে আরও পুষ্টি সম্মত।
ইফতারিতে কাবাব থাকলে রাতে মাংস না খাওয়াই ভালো- এমন পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, রোজার মাসে ঝোল জাতীয় খাবারের পরিবর্তে সলিড খাবার বেশি খেতে হবে, যেন অনেক সময় পেটে থাকে।
তামান্না চৌধুরী বলেন, ইফতারিতে কম খেতে হবে। রাত ৯টার মধ্যে রাতের খাবার খেলে হজম হতে সুবিধা হবে। সেহরি আজানের একটু আগে করলে সারাদিনের ক্লান্তি কমে আসবে। এছাড়া ইফতার থেকে শুরু করে সেহরির আগ পর্যন্ত কমপক্ষে দুই লিটার পানি খাওয়ারও পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।
অ্যাপোলো হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সমন্বয়ক ডা. এহসান বলেন, অনেকের হার্টের সমস্যা, ডায়বেটিস, প্রেসারসহ নানা ধরনের রোগ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ভাজা-পোড়া খাবার এড়িয়ে চলার কোন বিকল্প নেই। আরো ভালো হয় যদি এগুলো একেবারেই না খেলে।
এছাড়া এসব রোগীর ক্ষেত্রে শরীর চেকআপের মাধ্যমে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন,‘শুধু তাই নয়। রোজার মধ্যে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে যায়। তাই আমার পরামর্শ রোজার আগে প্রত্যেকের একবার করে নিজের শরীর চেকআপ করা’।