ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

প্রযুক্তি আসক্তি মুটিয়ে দিচ্ছে!

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৬
প্রযুক্তি আসক্তি মুটিয়ে দিচ্ছে!

সারাদিন ফার্মে কাজ হচ্ছে। গাছ লাগানো, ফসল তোলা, রান্না করা, গরু-মুরগি খাওয়ানো, তাদের দুধ, ডিম সংগ্রহ করে দোকানে বিক্রি।

তারপর টাকা জমিয়ে আরও একটু জমি কেনা...এখানেই কী শেষ, সময় পেলে বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে তাকেও কাজে সাহায্য করে আসা। হুম একেবারে পারফেক্ট চাষী। এতো কাজ করলে কারও তো মুটিয়ে যাওয়ার ভয় থাকার কথা না। কিন্তু এই কাজগুলো যত করবেন ততই আপনার মুটিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।

কারণ ভার্চুয়াল চাষাবাদে আমাদের শারীরিক কর্মকাণ্ড কমে যায় এবং আমাদের অলস করে তোলে। এতো কর্মযজ্ঞ সবই চলে বসে বা শুয়ে প্রিয় সেলফোন, ল্যাপটপ বা আইপ্যাডের ফেসবুকে। ফলে আমাদের জীবন ডেস্ক বা বিছানায় সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।  সারাক্ষণ ফেসবুকে বা গেমস খেলতে থাকলে আমাদের ফিটনেস কমে যায় এবং শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চিন্তাশক্তিও হ্রাস পায়।

এটি আমাদের স্বাভাবিক কাজেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কারণ প্রয়োজনীয় কাজ করার চেয়ে গেমস বা ফেসবুকে সময় কাটাতেই আমরা বেশি পছন্দ করি। যার বিরুপ প্রভাব পড়ে আমাদের কর্মজীবনে। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়েছে, নিয়মিত কয়েক ঘণ্টা ফেসবুকে বা গেমস খেলে কাটালে ওজন বাড়ে।

আপনার স্মার্টফোনে একটি নতুন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি আপনাকে মুটিয়ে দিতে পারে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের মধ্যে একদল সেলফোন ব্যবহারকারী আছেন যারা দিনের ১৪ ঘণ্টা সময় ফোনের পেছনে ব্যয় করেন।

ডাক্তার রামেন গোল বলেন, এই প্রথমবার আমরা সেলফোনের অধিক ব্যবহার শারীরিক কর্মকাণ্ড কমে যায় এবং ফিটনেসের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে এটা নিশ্চিত হতে পেরেছি।  

ভারতের জাসলক হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের সার্জন সঞ্জয় রয় বলেন,‘ এই গবেষণায় প্রতিফলিত হয়েছে, সেলফোন ব্যবহারকারীদের অনেকেরই ফোনের প্রতি এক ধরনের আশক্তি তৈরি হয়, যার ফলে সময় মতো খাবার খাওয়া বা ভ্রমণ করার প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ থাকে না। অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের জন্যও ওজন বৃদ্ধি পায় এবং নানা ধরনের শারীরিক  জটিলতা দেখা দেয়। বিশেষ করে অল্প বয়স্ক ছেলেমেয়ে এই সমস্যায় বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।

দীর্ঘমেয়াদী ফোন ব্যবহারে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন তারা বড় হয়ে অনেকে দূরের জিনিস ভালো দেখতে পায় না। তবে এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণের পথও রয়েছে।

স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে একটানা বেশিক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা যাবে না। কোনো অবস্থায়ই ১৫ মিনিটের বেশি একসঙ্গে ফোনে গেমস খেলা বা নেট ব্রাউজ করা ঠিক নয়।

ছোট শিশুদের কাছ থেকে ফোন দূরে রাখুন।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।