সামনে ঈদ-উল-আযহা। এই ঈদে পোশাকের থেকে খাবারের দিকেই মনোযোগ একটু বেশি।
মশলাসহ সব কেনাকাটা সময় নিয়ে সুপার শপের পরিবর্তে বড় কোনো বাজার থেকে করলে বেশ সাশ্রয়ী হবে।
আসুন জেনে নেই এই ঈদে বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের দরদাম কেমন?
প্রতিকেজি হলুদগুড়া পাওয়া যাবে ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে, মরিচগুড়া ২০০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে, আদা প্রতিকেজি ১৫০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩৮ টাকা(দেশি)৩২ টাকা (বিদেশি),রসুন প্রতিকেজি ১৮৫ টাকা, ধনেগুড়া প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে, জিরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।
ডালের ভেতর প্রতি কেজি মসুর ডাল দেশি ১৫৫, মুগ ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা ও মাষকলাই ১৩০ টাকা। লবণ প্রতিকেজি ২৮ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। এছাড়া বিট লবণ ১০০ টাকা ও ৫০০ গ্রাম পরিমাণ টেস্টিং সল্ট পাওয়া যাবে ১২৫ থেকে ১৪০ টাকায়।
কেজিপ্রতি দারচিনি ৩০০ টাকা, এলাচ ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা, লবঙ্গ ১০০০-১১০০ টাকা, কিশমিশ ৩৬০-৪৩০ টাকা, আলুবোখারা ৪৯০-৫০০ টাকা, কালিজিরা ৩০০ টাকা, জাফরান প্রতিগ্রাম ২৫০ টাকা, জয়ফল প্রতিপিস ৮-১০ টাকা, পাঁচফোড়ন ১২০ টাকা, জৈত্রী ১০০ গ্রাম ১৮০ টাকা। বাদামের মধ্যে চীনাবাদাম পাবেন কেজিপ্রতি ৮০-৮৫ টাকা, কাঠবাদাম ৮৫০ ও কাজুবাদাম ১১০০ টাকা।
ঈদের বিশেষ রান্নায় চাই খাঁটি ঘি। প্রতিকেজি ঘি পাওয়া যাবে ৯৩০ থেকে ৯৫০ টাকার মধ্যে ও প্রতি লিটার খোলা তেল পাওয়া যাবে ৮৮ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে। এছাড়া প্রতি পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেল পাবেন ৪৭০ টাকা। চিনি প্রতিকেজি পাওয়া যাবে ৬৬ থেকে ৭২ টাকার মধ্যে।
অনেকেই রেডি মশলার খাবার পছন্দ করে থেকেন। তাদের জন্য বাজারে রয়েছে অনেক ধরনের রেডি মিক্স মশলা। কোম্পানিভেদে দামে কিছু পার্থক্য রয়েছে। রোস্ট মশলা পাওয়া যাবে ৬০-৭০ টাকা, কাবাব মশলা পাওয়া যাবে ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।
বিরিয়ানী মশলা ৫০ টাকা, মেজবানি মাংসের মশলার দাম পরবে ৩৫-৫০ টাকার মধ্যে।
ঈদ-উল-আযহা হলে কি হবে সকালের নাস্তাতে একটু সেমাই না হলে ঈদ ঠিক জমে না। ঈদের বাজারে সেমাই পাওয়া যাচ্ছে প্রতিকেজি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়।
বোরহানি তৈরি করার জন্য লাগবে টক দই সেক্ষেত্রে প্রতিকেজি টকদই পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। এছাড়া মাঠা, লাবাং তৈরি করতে লাগবে দুধ, প্রতি লিটার দুধ পাওয়া যাবে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকার মধ্যে।
এতো খাবার খাওয়ার পরে চাই কোমল পানীয়, প্রতিলিটার কোমল পানীয় পাওয়া যাবে ৫০ টাকায়।