একজোড়া সাধারণ কিটেন হিল পরেও কেউ কেউ অনেক ঝামেলায় থাকেন। অসময়ে পা হড়কে বেকায়দায় পড়ে যান অনেকের সামনে।
কীভাবে? যারা বিপাকে পড়েন তাদের অনেকেই দোষটা দেন জুতোর ওপর। আর যারা ভালো থাকেন তাদের নিয়ে ভাবা হয়, আরে কত্ত দামি জুতো পরেন, কেউ আবার কদমজোড়ার শক্তির কথাও বলেন। কিন্তু আসলে আপনার পায়ের আকৃতিটাই এখানে বড় বিষয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নারী আছেন ওদের জন্মটাই যেনো হয়েছে উঁচু হিল পরার উপযোগী পা নিয়ে। আর অন্যরা সাধারণ হিলেও অস্বস্তিতে পড়েন।
নিজের পায়ের জন্য উপযোগী হিল কোনটা সেটা খুঁজে বের করতে পারাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ বটে। অংক কষে সঠিক হিলের উচ্চতা নির্দেশ করতে হবে।
এ জন্য ব্রিটেনের পাদুকা বিশেষজ্ঞ এমা সাপল এনেছেন পারফেক্ট হিল হাইট (পিএইচএইচ) কর্মসূচি। মেনে চললে ভুল জুতো পরে ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।
এমা বলেন, এটা একটা মৌলিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। পায়ের পাতার যে হাড় সেটাই মুখ্য। পা ও পাতার সংযোগ হয় এই হাড়ে। এটি একটি বাঁকানো হাড়। এ হাড়টি যেভাবে নড়াচড়া করানো সম্ভব তার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে এর কোনো মাপের উঁচু হিল আপনি পরবেন।
আপনি পা সোজা করে রাখলে কিংবা সাধারণ রিল্যাক্সড অবস্থায় রাখলে যদি পাতা নিচের দিকে ঝুঁকে থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন আপনি যত ইচ্ছা তত উঁচু হিল পরতে পারবেন। আর যদি আপনার পা যেমন ইচ্ছা তেমন নাড়ানো যায় কিন্তু পাতাটি নুইয়ে পড়ে না তাহলে ধরে নেবেন ফ্ল্যাট জুতোই হবে আপনার জন্য স্বস্তির।
পরিসংখ্যান বলছে, অনেক নারীই স্রেফ তাদের পছন্দ করা জুতোটির কারণে ভোগান্তিতে পড়েন। স্রেফ জুতোর কারণেই নারীরা গড়ে বছরে ২৩ দিন অসুস্থ থাকেন। তার মানে প্রতিদিন অন্তত দেড় ঘণ্টা করে এই ভোগান্তিতে থাকেন তারা।
মজার ব্যাপার হলো, ফ্ল্যাট হিল পরেও অনেকে কষ্টে ভোগেন। এদের জন্য এমা সাপলের মত, এটাও পায়েরই গঠনের কারণে। কিছু কিছু পা আছে যা মূলত উঁচু হিলের জন্যই তৈরি। এদের জন্য উঁচু হিলই হবে আরামদায়ক।
ব্যালেরিয়ানরা খুব উঁচু হিল পরেন। ওরা পা টাকে বৃদ্ধাঙ্গুলের ওপর চেপে ধরে ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত বাঁকিয়ে আনতে পারে। এদের বলা হয় নাচের পা। সাধারণের মাঝেও এমন অনেকেরই রয়েছে নাচের পা। নিজের পা নিজেই পরীক্ষা করে নিন। আর আকার ও গঠন বুঝে হিল পছন্দ করুন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৬
এমএমকে/এএ