ঐশি ক্লাস টেনে পড়ে। প্রায়ই বন্ধুর জন্মদিনে বা স্কুলের পিকনিকে তাকে যেতে হয়, সে তখন বুঝে উঠতে পারে না কেমন হবে পোশাক আর সাজগোজ।
আসুন জেনে নেই:
অনেক পরিবারের অভিভাবক আছেন যারা টিনএজারদের সাজগোজের বিষয়ে খুবই নেতিবাচক থাকেন। আবার খুব সাদামাটা ভাবে কোথাও গিয়ে ওরা হীনমন্যতায় ভোগে। তাই এই বয়সের জন্যও প্রয়োজন সুন্দর করে নিজেকে উপস্থাপনের দক্ষতা।
সব টিনএজারই কিন্তু কমবেশি সাজে। টিনএজ মেয়েদের সাজ হবে সাধারণ এবং স্বাভাবিক যা-ই সে করুক না কেন, তা হবে ন্যাচারাল।
চোখ এবং ঠোঁটের সাজ গুরুত্ব দিয়ে মুখে হালকা করে ফাউন্ডেশন মেখে কমপ্যাক্ট পাউডার বুলিয়েই সাজ শেষ করতে হবে।
আর চোখের ওপরে পোশাকের রং মিলিয়ে শ্যাডো লাগিয়ে, চোখের পাপড়িতে দুইবার মাশকারা লাগিয়ে নিন। ঠোঁটে পিচ বা হালকা গোলাপি রং-এর লিপিস্টিক লাগান।
তবে সাজটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সঠিকভাবে মেকআপ তোলা। এজন্য বাইরে থেকে ফিরে প্রথমেই তুলা বা টিসুতে লোশন বা অলিভওয়েল নিয়ে খুব ভালো ভাবে মেকআপ তুলে নিতে হবে। এবার ফেসওয়াশ বা ময়দা দিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মাখুন।
এই বয়সে ত্বক একটু ব্রণপ্রবণ থাকে। ময়লা জমে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয় আর উজ্জ্বলতাও কমে যায়। তবে যত্ন নিলেই ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বাড়ে ব্রণ থেকেও বাঁচা যায়।
এজন্য ঘরে বানানো প্যাক হিসেবে জন্য মসুর ডাল, কাঁচা হলুদ ও দুধের সর একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।
পোশাকের বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। পরিবেশ এবং অনুষ্ঠান বুঝে পোশাক নির্বাচন করতে হবে। আরামদায়ক এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এমন পোশাক পরুন।
চুল কীভাবে সেট করা হবে তা নিয়েও থাকে অনেক চিন্তা। প্রথমে চুল শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিন।
এবার সামনের দিকটা হালকা পাফ করে স্প্রে ও ক্লিপ দিয়ে সেট করে পেছনে ছেড়ে রাখুন। চাইলে উঁচু করে সব চুল নিয়ে খোপা করে ব্যান্ড দিয়ে অটকেও দিতে পারেন।
বন্ধুরা মনে রাখতে হবে, নিয়মিত ঘুম ও পর্যাপ্ত পানি পান এ বয়সে সুন্দর থাকার মূলমন্ত্র।