প্রতিদিনই আমরা চেষ্টা করি আরও একটু ভালোভাবে দিনটি কাটানোর। কিন্তু অনেক সময় আমাদের ঘুম ঘুম লাগে, কোনো কাজ করতে উৎসাহ পাই না।
পানি: আমরা যখনই সুস্থতা বা সৌন্দর্যের কোনো টিপস দেই, সব সময়ই সব কিছুর আগে যে কথাটি বলি তা হচ্ছে পানি। পানির গুরুত্ব আমাদের জীবনে নতুন করে আর কি বলার আছে? প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের কথা তো সব সময়ই শুনে আসছি। এই পানির সঙ্গে একটি লেবুর রস মিলিয়ে পান করুন। শরীরের আদ্রতা ঠিক থাকবে আর দেখবেন বাড়তি মেদের জন্য আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
যা খুশি: কি করতে আপনার ভালো লাগে হাঁটতে, দৌড়াতে না সাঁতার কাটতে বা ইয়োগা? যতটুকু সময় পান মাত্র আধা ঘণ্টা এর যে কোনো একটি করুন। শরীর থাকবে একদম ঝরঝরে।
মনের জানালা খুলে দিন: অনেক সময় আমরা একটি লক্ষ্য স্থির করি এবং নিশ্চিত থাকি এর বাইরে আর কিছুই নেই। আমাদের সব সিদ্ধান্ত যে সঠিক এটা ভেবে রাখাটা সব সময় সঠিক নাও হতে পারে। প্রয়োজন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চাহিদার পরিবর্তন হয়। আর কোনো কারণে লক্ষ্য অর্জন না হলে জীবনে যেন সব শেষ এই ধারনা থেকেও বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে। এজন্যই প্রয়োজন মনের দুয়ার খোলা রেখে, চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে আপডেট থাকা। সহনশীল ও নমনীয় মনোভাব রেখে কর্ম পরিকল্পনা নিলে সফলতা আসার সম্ভবনা থাকে অনেক বেশি।
ছুটি নিন: ব্যস্ততার মাঝে আপনি যখন ক্লান্তি বোধ করেন, তখন কী করেন? আসলে নিজের ভালোলাগা আর ভালো থাকার জন্য আমাদের হাতে সময় কোথায়, এটাই তো ভাবছেন? দিনের কিছুটা সময় কাজ থেকে ছুটি নিন। পছন্দের একটি গান শুনুন, পারলে খোলা অকাশের নিচে একটু ঘুরে আসুন, সবুজ ঘাসে খালি পায়ে হাঁটতে পারেন। এগুলো আমাদের নতুন করে কর্মশক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করবে।
ভুলে যান: না হয় ভুলেই যান নিজের বয়স আর পোস্ট পজিশন। এসব দেয়াল ডিঙাতে পারলেই কিন্তু ভালো থাকতে পারবো। কিছুক্ষণের জন্য হয়ে যান ছোট্ট শিশু, একটু খুনশুটি, দুষ্টুমি আর ছবি অাঁকা বা গেমস খেলা, গলা ছেড়ে গান গাওয়া মন্দ কী?
খাবার: প্রতিদিনের খাবারে শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখা। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শাক-সবজি নিয়মিত খাওয়া, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যে কোনো একটি ফল এবং কয়েকটি বাদাম খেলে আমরা যেমন মানসিক চাপ কমাতে পারি তেমনি কর্মশক্তিও বাড়ানো সম্ভব।
ঘুম: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো এবং সকালে ওঠার অভ্যেস করুন। পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের সুস্থ থেকে কাজ করার শক্তি যোগায়।
কর্মক্ষেত্র>পরিবার: একজন ভালো কর্মী কখনোই শুধু অফিস নিয়েই ব্যস্ত থাকে না। পরিবারে আপনজনের সান্নিধ্যেই আমরা পরবর্তী দিনের কাজের অনুপ্রেরণা পাই। আমরা পরিশ্রম করি নিজের এবং আপনজনের আরও ভালো থাকার জন্য। কিন্তু অফিসের কাজের অজুহাতে যদি পারিবারিক এবং সামাজিক কাজ আর অনুষ্ঠানগুলো এড়িয়ে যাই, তবে একসময় আমরাই একা হয়ে যাব। কাজ তো করতেই হবে তবে সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সময় কাটাতে হবে।
শুধু কষ্ট করে পড়ে এই বিষয়গুলো ভুলে না গিয়ে কয়েকদিন মেনে চলার চেষ্টা করুন এবং সারাদিন ঘরে বাইরে সুখী ও কর্মক্ষম থাকুন।