পানি কম পান করলে শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো বাইরে বেরোতে পারেনা। ফলে দুর্বলতা সেই সাথে মাথা ঘোরা, বমিভাব, ব্রণ, জ্বালাপোড়াসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় আমাদের।
শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগে। পানির অভাবকে পূরণ করার জন্য শরীর খাদ্যগ্রহণের পথ ধরে নেয় যেটা কিনা আরও বেশি পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে দেহে। হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
এই সমস্যার সমাধান হতে পারে গরম পানি। পানি হালকা গরম করে পান করলে উপকার কিন্তু ঠাণ্ডা পানি পানের চেয়ে অনেক বেশি। শুধু শীতের সময়ই নয়, সারা বছরই যদি হালকা গরম পানি পানের অভ্যেস করি, তবে আমরা যে উপকারগুলো পেতে পারি:
• শরীরে বাড়তি ফ্যাট ঝড়িয়ে দেয় গরম পানি। প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানিতে, মধু, আদা এবং লেবু মিশিয়ে খেলে মিলবে উপকার।
• গরম পানি পানে ঘাম হয়, ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায় শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন
• খাওয়ার পর গরম পানি পানে গ্যাস অম্বলের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে
• দেহে রক্ত চলাচল বাড়ে, পেশী সঞ্চালনা আরও মসৃণ হয়
• কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
এবার জেনে নিন, শীতে কে কতটুকু পানি পান করবেন:
আমাদের শরীরের ৭০ ভাগের বেশিই হচ্ছে পানি, এজন্য সারাবছরই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। তবে স্বাভাবিক পানির চাহিদা কিন্তু একেক জনের আলাদা।
যেমন, শিশুদের, পুরুষ ও নারীর পানির চাহিদাও ভিন্ন। আবার যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন, নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের অন্যদের তুলনায় বেশি পানি পান করতে হবে।
*নারীদের প্রতিদিন৬-৮ গ্লাস
*ব্যায়াম বা ভারী কাজ করেন এমন নারীরা ৮ থেকে ১০ গ্লাস
*পুরুষের জন্য ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানিই যথেষ্ট, তবে যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তারা ১০ থেকে ১৪ গ্লাস পানি পান করুন।