তাহলে কী কোনো ভাবেই নিজের ত্বকের রং কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে ফর্সা করা সম্ভব নয়?
সম্ভব, আর এজন্য আমাদের খুব বেশি দৌঁড়ঝাপও করতে হবে না। ঘরেই রয়েছে আমাদের ফর্সা হওয়ার উপকরণ।
ত্বকের রং প্লাসে যাবে না মাইনাসে তা নির্ভর করে আসলে আমাদের খাদ্য তালিকার ওপরই। বেশি ফাইবার, মিনারেল, ভিটামিন এবং পরিমাণমতো ফ্যাট ও প্রোটিনযুক্ত খাবার অনায়াসেই ত্বকের রং কয়েক শেড উন্নত করে তোলে। আর এজন্য প্রতিদিনের খাবারে বেশি করে ফল এবং সবজি রাখুন।
অনেক সময় আমরা সবজি-ফলের পরিবর্তে জাঙ্ক ফুড খেতে বেশি পছন্দ করি। কিন্তু ত্বক ভালো রাখতে চাইলে এই অভ্যেস থেকে দূরে থাকতে হবে।
দিনের প্রতি বেলার খাবারে অবশ্যই অবশ্যই এক বাটি সবজি রাখতে হবে। সঙ্গে অল্প ভাত বা রুটি, ডাল, মাছ বা মাংস রাখতে পারেন। আর প্রতিদিন যেকোনো একটি ফল বাধ্যতামূলক, খেতেই হবে।
সবজির মধ্যে পালং শাক, টমেটো, ব্রকলি, মিষ্টি আলু এবং করলা আমাদের রং ফর্সা করতে বেশ অবদান রাখে। কারণ এতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
ডেয়রি প্রডাক্টের মধ্যে দুধ, চিজ, টক দই, আর প্রোটিনের মধ্যে ডিম, মাছ, মাংস খেতে হবে নিয়মিত।
আপেল, কমলা, কলা, পেঁপে, আঙুর, স্ট্রবেরি, আম, বরই আর তরমুজ মানে ফলের ঝুড়িতে রাখা সবক’টা ফলই ত্বকের জন্য উপকারী। কারণ ফল থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল পায় আমাদের ত্বক।
ডার্ক চকলেট খেতে বলছি, অবাক হচ্ছেন? আসলে চকলেক আমাদের ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে। সেই সঙ্গে রোদে পোড়া ত্বকের ড্যামেজ সারাতেও সাহায্য করে।
তবে মনে রাখতে খাবারের সঙ্গে সঙ্গে দেহ ও মন সুস্থ রাখতে হবে, থাকতে হবে একদম ফিট আর দুশ্চিন্তামুক্ত। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার, ব্যায়াম আর প্রচুর পানি পান এগুলো তো আমরা এমনিতেই করি।
নিয়মিত এগুলো মেনে চলুন রং-ফর্সাকারী ক্রিমগুলো আর বাজারে প্রয়োজন হবে না।