পাসপোর্ট যাচাই করুন
কখনও কখনও ভিসা হাতে পেতে এতো বেশি সময় লাগে যে ততোদিনে তাড়াহুড়ো লেগে যায়। ভ্রমণের তারিখ কাছে চলে আসায় অনেক জরুরি বিষয়ে খেয়াল থাকে না।
সবকিছুর ফটোকপি রাখুন
সতর্ক ও সচেতন থাকার পরও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। দূর্ভাগ্যবশত পাসপোর্ট কিংবা ভ্রমণ সংক্রান্ত অন্য কাগজপত্র হারিয়ে গেলে হুট করে বিদেশে কার সাহায্য খুঁজবেন! তাই নিজের নিরাপত্তা নিজেই নিশ্চিত করুন। আলাদা ব্যাগে সব কাগজপত্রের ফটোকপি রাখুন।
সঠিক চার্জিং অ্যাডাপ্টর
ভ্রুমণে আপনার অন্যতম সঙ্গী হবে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলোও। সময়মতো সেগুলো কাজ না করুক, এমন পরিস্থিতিতে আপনি কখনোই পড়তে চান না। তাই যে দেশে যাচ্ছেন সেখানে কি ধরনের অ্যাডাপ্টর, কনভার্টার, ট্রান্সফর্মার ব্যবহৃত হয় সেসব সম্পর্কে জানুন। কারণ একেক দেশে একেক ধরনের চার্জার ও ভোল্টেজ ব্যবহৃত হয়।
ভারী ব্যাগ নয়
প্রথমবার বিদেশে ভ্রমণ নিঃসন্দেহে উত্তেজনাপূর্ণ। আর এজন্য আপনি সব প্রিয় জামাকাপড়, সাজগোজের জিনিসপত্র ঠেসে ব্যাগ ভারী করবেন না। দেখা যাবে বেশিরভাগই ব্যবহার না করেই ফিরে এসেছেন। তাছাড়া ভারী ব্যাগ বহন করতে ক্লান্ত তো হবেনই, অনেক নতুন জিনিসও আর কেনা হবে না ব্যাগ আরও ভারী হবে এই ভয়ে।
এয়াপোর্টে মানি চেঞ্জিং নয়
বিমানবন্দরে মানি চেঞ্জিং সুবিধা থাকলেও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এখানে টাকা ভাঙ্গানো একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। কারণ বিমানবন্দরে মানি চেঞ্জিং রেট অনেক বেশি। সব থেকে ভালো হয় বাজেটের ১৫-২০ শতাংশ পরিমাণ টাকা ভাঙ্গানো। বাকি টাকা ক্রেডিট কার্ডে থাকা উচিত।
না জানলে জিজ্ঞেস করুন
প্রথমবার প্লেনে চড়ে আপনি এমন অনেক কিছুই দেখবেন যেগুলো সম্পর্কে আপনার কোনো ধারনা নেই। অনেক ক্ষেত্রে আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে। তাতে অস্বস্তি বা লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। বিনয়ের সঙ্গে সাহায্য চান। ইমিগ্রেশন ফরম, কাস্টমার ডিকলারেশনসহ যেকোনো প্রয়োজনে এয়ারপোর্ট স্টাফদের জিজ্ঞেস করুন।
সিমকার্ড
যে দেশেই যাবেন, প্রথমেই সেখানকার একটি ফোনের সিম নিয়ে নিন। সঙ্গে পর্যাপ্ত টকটাইম ও ইন্টারনেটের ডাটা।
বুকিং
কোথায় থাকবেন, কোথায় যাবেন টিকেট এবং হোটেল বুকিং অনলাইনের মাধ্যমে আগেই করে নিন।
আইন
যে দেশে যাবেন সেখানকার আইন অবশ্যই মেনে চলবেন।
একজন ভালো পর্যটক হয়ে ঘুরে আসুন, অন্য দেশের মানুষের কাছে নিজের দেশ সম্পর্কে ভালো ধারনা দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময় ১১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এমএসএ/এসআইএস