সম্পর্কে সুখ নির্ভর করে বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির ওপর।
বিশ্বাস অর্জন করতে পারলে সঙ্গীর হৃদয়ে আপনার জন্য সম্মানের আসন তৈরি হয়।
আর আপনি সঙ্গীকে কতটা সম্মান করেন তা প্রকাশ করে প্রতিশ্রুতি। প্রিয়জনের ভালো বা খারাপলাগাগুলোকে মনে লালন করা ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ।
খুব বেশি বা খুব কম প্রত্যাশা নয়
কিছু কাপল মনে করে মন খারাপ এড়াতে প্রত্যাশা কম রাখা ভালো। কিন্তু গাটম্যানের মতে এটা ভুল। কারণ আপনি সঙ্গীর প্রতি কম প্রত্যাশা করার মানে হলো আপনি তাকে কম গুরুত্ব দিচ্ছেন। এতে সঙ্গী তার প্রতি মনোযোগের অভাব খেয়াল করতে পারে।
একটি সম্পর্কে মন খারাপ কিংবা হতাশা থাকবেই। মানুষ কষ্ট পাবে। এগুলো সম্পর্কেরই অংশ। কারণ দুজন মানুষের চিন্তাভাবনা কখনোই এক হতে পারেনা।
সম্পর্কে ঘনিষ্টতা, বন্ধুত্ব দুটোই জরুরি
আমরা বেশিরভাগই পারফেক্ট মানুষ খুঁজি। যার মধ্যে সব ভালো গুণ থাকবে। কিন্তু এটা আগে বোঝা উচিত যে ‘সমমনা’ আর ‘মনের মতো’ এক বিষয় নয়।
সঙ্গীর সঙ্গে বোঝাপড়াটা বেশি জরুরি। দুজন দুজনকে সব থেকে কাছের বন্ধু ভাবুন। যাকে মনের সব কথা নিশ্চিন্তে বলে ফেলা যায়। পারস্পারিক ঘনিষ্টতার মাধ্যমে যেমন সঙ্গীর মনের মতো হওয়া সম্ভব, তেমনি খোলামেলা আলোচনা, গল্প, শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে চিন্তাভাবনারও মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন কিছু নয়।
‘ভালো সম্পর্ক’ যেমন হওয়া উচিত
• একটি ভালো সম্পর্কের জন্য সৎ থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। সঙ্গীকে তার প্রাপ্ত সম্মান দিন। অবাস্তব প্রত্যাশা না রেখে দায়িত্বের সঙ্গে টুকটাক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলুন।
• ভালোবাসাই মূল শর্ত। স্নেহমাখা ভালোবাসা ধরে রাখুন সম্পর্কে। এরপরেই যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো বিশ্বাস।
• একজন আরেকজনের সত্যিকারের বন্ধু হোন। বিপদে-আপদে পাশে থাকুন। ভরসা দিন। সঙ্গীর প্রয়োজন বুঝুন।
আর এভাবেই ‘ভালো সম্পর্ক’ সারাজীবন ভালো রাখুক আমাদের সম্পর্কগুলোকে।
বাংলাদেশ সময় ১৩১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
এমএসএ/এসআইএস