নারীর ক্ষমতায়ণ, মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের সঙ্গে জড়িত প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীকে মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে এই অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে হবে।
‘নারীর নানাবিধ স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাসের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির এখনই সময়’ শ্লোগান নিয়ে সারা দেশে সপ্তাহব্যাপী সচেতনতামূলক কর্যক্রম পরিচালনা করবে বন্ধু।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি মিলনায়তনে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাকায় অবস্থানরত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিস. লিওনি মারগারেটা কুলেনিয়ারা ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মিস. সিডসেল ব্লেকেন। পরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাচ রাস্ট্রদূত বলেন লিওনি মারগারেটা বলেন, শুধু নারীর নয় পুরুষ-নারী নির্বিশেষে সকলের সমঅধিকার নিশ্চিত করাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূললক্ষ্য।
সারাবিশ্বে নারী নানা রকম ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিশ্চিত করা গেলে নারীর উন্নয়নের পথ সুগম হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বন্ধু’র চেয়ারপারসন আনিসুল ইসলাম হিরু, নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ এবং হিউম্যান রাইটস ফোরাম অব বাংলাদেশের কনভেইনার শিফা হাফিজ।
সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আংশ নেয় বন্ধু’র কালচারাল ইউনিট ‘সত্তা’। কবিরুল ইসলাম রতনের নির্দেশনায় হিজড়াদের অংশগ্রহণে নৃত্যনাট্য ‘প্রকৃতির আশীর্বাদ’ পরিবেশন করে ‘সত্তা’। বন্ধু বাংলাদেশের হিজড়া ও লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য, এইচআইভি প্রতিরোধ, জীবনমান উন্নয়ন ও মানবাধিকার নিয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে কাজ করে আসছে।