ফলে অস্বস্তিবোধ হয়, ডায়াবেটিস, প্রেসার ও গ্যাসট্রিকসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে আমরা ইফতার শুরুই করি নানা ধরনের শরবতে, যেসব তৈরি হয় চিনি দিয়ে।
একে তো খাবার গ্রহণের সময়ের পরিবর্তন, এরপর গরমের সময়ে রোজা হচ্ছে, কীভাবে সুস্থ থাকতে পারি সেই পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাপোলো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী।
তামান্না চৌধুরী বলেন, সারাদিন না খেয়ে থেকে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই সুস্থ থাকতে হলে পরিকল্পনার মাধ্যমে ঠিক করতে হবে আমরা কতটুকু খাবো।
তিনি বলেন, সারাবছর যেমন আমরা তিন বেলা পুরো খাবারটা ভাগ করে খাই, রোজায়ও তাই করতে হবে। যেমন:
• ইফতারের সময় বেগুনি বা পিঁয়াজুর যেকোনো একটা রাখবেন।
• রমজানে মাংস খাওয়ার বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ ইফতারে অনেক ধরনের কাবাব থাকতে পারে, মাংসের তৈরি। যেদিন ইফতারে মাংসের কোনো আইটেম খাবেন, সেদিন রাতের খাবারে বা সেহরিতে মাংস খাবেন না।
• ডালের তৈরি পিঁয়াজু খেলে হালিম সন্ধ্যায় না খেয়ে রাতে ঘুমানোর আগে অল্প পরিমাণে খেতে পারি।
• হজমে সমস্যা রমজানে প্রায় সবারই হয়, তাই নিয়মিত অন্য পানীয়র সাথে এক গ্লাস ইসবঘোল বা বেলের শরবত রাখুন।
• সারাদিনের ক্লান্তি খুব সহজেই দূর করতে প্রতিদিনই ইফতারে কয়েকটি খেজুর রাখতে হবে।
• রাতের খাবারে ভাত বা রুটি, প্রচুর সবজি, দু-এক টুকরা মাছ বা মাংস, দুধ ও ফল খেতে হবে।
• অনেকেই ঘুম থেকে উঠে সেহরি খাওয়াকে কষ্টের কাজ মনে করেন, এজন্য না খেয়েই রোজা রাখেন। এটা কখনোই উচিৎ নয়। কারণ এতে করে অনেক বেশি সময় না খেয়ে থাকা হয়, শরীর দুর্বল হয়ে যায়, প্রেসার কমে যেতে পারেন, এমন কি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। ভাত, মাছ, ডাল, সবজি সেহরিতে খেতে পারেন।
এছাড়া ইফতার থেকে শুরু করে সেহরির আগ পর্যন্ত কমপক্ষে দুই লিটার পানি খাওয়ারও পরামর্শ দেন তামান্না চৌধুরী।
যাদের প্রয়োজন, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রমজানের ওষুধ গ্রহণের সময় নির্ধারণ করে নিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
এসআইএস