• ডায়াবেটিক থাকলে সকাল বেলার ওষুধ ইফতারে এবং রাতের ওষুধ সেহরিতে গ্রহণ করতে হবে এবং ইনসুলিনের মাত্রা হবে সাধারণ সময়ের চেয়ে অর্ধেক। তবে অবশ্যই ওষুধ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
• রমজানে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকায় ইফতারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ফলে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
গ্লুকোজ বাড়ার লক্ষণ
ঘন ঘন প্রস্রাব, গলা শুকিয়ে আসা, খুব তৃষ্ণা অনুভব করা, মাথাব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখা। গ্লুকোজ বেড়ে গিয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
• কচি ডাব ছাড়া অন্য কোনো মিষ্টি জাতীয় ফলের রস পান করা যাবে না।
ইফতারের সময় ডায়াবেটিক চিনি দিয়ে ইসবগুলের ভুষি, তোকমা, লেবু কাঁচা আম বা তেঁতুল শরবত ডায়াবেটিক রোগীর জন্য উপকারি।
• যদি কারো ডায়াবেটিস খুব বেশি পরিমাণে উঠানামা করে তারা রোজা না রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
• রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করলে রোজা ভেঙ্গে যায়। তাই সেহরির শেষ সময় এবং ইফতারের প্রথম সময় ইনহেলার ব্যবহার করলে যদি চলে তবে রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। তবে অসুস্থতা বেশি হওয়ার কারণে দিনেও ব্যবহার করা জরুরি হলে তখন ব্যবহার করতে পারবেন।
• রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত দিলে রোজা ভাঙবে না। তবে কেউ যদি শারীরিকভাবে এমন দুর্বল হয় যে, রক্ত দিলে সে রোজা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেলবে- তাহলে তার জন্য রক্ত দেওয়া মাকরুহ।
এছাড়াও যেকোনো গর্ভবতী মায়ের সুস্থ থাকলে রোজা রাখতে সমস্যা নেই। তবে গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুর কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকলে বা কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা হলে ইসলামী শরিয়া মতে সেই মায়ের রোজা না রাখলেও চলবে।
ডা. মোহাম্মদ শরীফ মহিউদ্দিন
ডায়াবেটিক গবেষক ও চিকিৎসক,
আইচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান।