কী করা যায়, ভাবতে ভাবতেই মাথায় এলো ফেসবুকে একটি অনলাইন পেজ খুলে, কিছু পণ্য কিনে ছবি তুলে বিক্রি করলে তো মন্দ হয় না। যেই কথা সেই কাজ।
শুরু হলো পেজ খোলা, পণ্য কেনা, ছবি তুলে পোস্ট করা, কাস্টমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পণ্য কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে পাঠানো। যিনি পণ্য বিক্রি করছেন তার কিন্তু এই সবগুলো কাজই করতে হচ্ছে পণ্যের মান, বাজারের চেয়ে সাশ্রয়ী দামে সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দিয়ে কাস্টমারের আস্থা অর্জন করে।
পণ্য বিক্রির জন্য নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে অনলাইনে লাইভ করে পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাকে ধারণা দেওয়া, ঠিক আগের দিনে দোকানিরা যেমনটি করতেন।
পছন্দ হলে কমেন্টস করেই পণ্য বুক করা হয়ে যাচ্ছে, কয়েক ঘণ্টায় পণ্য গ্রাহকের দরজায়। এরচেয়ে সহজ কেনাকাটার সিস্টেম আর কী হতে পারে!
রাস্তার ট্রাফিক পার হয়ে, সময়-শ্রম ব্যয় করে ঘুরে ঘুরে ঈদ বাজার করার সময় যাদের নেই, তাদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন কেনাকাটা। আর তাতে নতুন সংযোজন লাইভ ভিডিও’র মাধ্যমে পণ্যের বিস্তারিত ক্রেতাকে জানিয়ে দেওয়া।
এখন সব ধরনের পোশাক, গহনা, প্রসাধনী, রান্নাঘরের বাসন-পত্র, আসবাব, খাবার-দাবার সবকিছুই ই-বাণিজ্যের অন্তর্ভুক্ত। ঘরে বসেই ইন্টারনেটেই কেনা যাচ্ছে সব কিছু। ক্যাশ-অন-ডেলিভারিতে ক্রেতারাও খুশি। পণ্য হাতে পেয়ে দেখে নিয়েই দাম দিতে পারছেন। পছন্দ না হলে বা পণ্যে কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে সহজেই ফিরিয়ে দিতে পারছেন।
দেশের নাম করা সব ফ্যাশন হাউস থেকে ছোট উদ্যোক্তা সবার পণ্যই অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
অনেক উদ্যোক্তাই বাংলানিউজকে জানিয়েছেন রোজার শুরুতেই লাইভে এসে যে পোশাকগুলো দেখিয়েছিলাম, পরের দিনই সবগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। চাকরি না করেও বেশ আয় হচ্ছে।
অনলাইনে কেনা-বেচায় ক্রেতা খুশি, খুশি বিক্রেতাও।