পোলাও/বিরিয়ানি
সবার বাড়িতেই ঈদে পোলাও বা বিরিয়ানি করা হয়, আবার অনেকে দুটোই করে। বিরিয়ানির তুলনায় পোলাও করতে কম খাদ্য উপাদান লাগে, তাই বিরিয়ানির চেয়ে পোলাও এ তুলনামূলক ভাবে কম ক্যালরি হয়।
রোস্টমুরগি রোস্ট অনেকের বাড়িতেই করা হয় ঈদ মেন্যু হিসেবে। রোষ্ট একটু হেলদি করার জন্য খুব বড় মুরগির পরিবর্তে ছোট মুরগি নিলে ভাল। চার পিস না করে মুরগি ৮ পিস করলে ক্যালরি ও প্রোটিন দুটোই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রোস্টে মাওয়া, ঘি, কন্ডেন্সডমিল্ক, সাদা চিনি বেশি ব্যবহার না করে টকদই, সিরকা, কিশমিশ, উদ্ভিজ্জ তেল, কাঁচামরিচ ব্যবহার করলে ভাল। স্বাদ কিছুটা কম হলেও ক্যালরি ও ফ্যাট অনেক কমনো সম্ভব।
কোরমা/রেজালাঈদের অনেকের প্রিয় মেন্যু হল রেজালা বা কোরমা। ক্যালরি বিবেচনায় রেজালার চেয়ে কোরমা ভাল। কেননা কোরমা রান্না করতে মশলা ও অন্যান্য উপাদান কম লাগে। সাদা কোরমা যদি মুরগি বা মাছের হয় তবে তা খুবই হেলদি হয়। ঈদে অনেকেই শুধু মাংসের রেসিপি করে থাকে, কিন্তু ফ্যাট ও ক্যালরির কথা ভাবলে মাছ বা ডিমের কোরমা করা যায়। সুঘ্রাণের জন্য গোলাপজল ব্যাবহার করা জেতে পারে।
টিকিয়া/কাবাবগরুর মাংস সবারই প্রিয়। ঈদ মেন্যুতে গরুর মাংস উপভোগ করতে চাইলে কাবাব বা টিকিয়া করা যেতে পারে। টিকিয়া করতে মাংসের সাথে সমপরিমাণ ডাল মিশিয়ে নিলে ফ্যাট অনেকাংশে কমে আসে। মাংসের কাবাব তৈরিতে কয়লা ব্যবহার না করাই ভাল। মাংসের পরিবর্তে মাছের কাবাব আরও বেশি স্বাস্থ্যকর হয়।
মিষ্টান্নঘরে তৈরি যেকোনো মিষ্টান্ন স্বাস্থ্যকর। কিন্তু ক্যালরি ও ফ্যাট বিবেচনায় একটু সাবধানতা অবশ্যই নেয়া ভাল। যেমন ফিরনি সাদা চিনি দিয়ে না করে গুড় দিয়ে করা ভাল। আবার ফিরনি বা দুধ সেমাই, যেকোনো একটি করা যায়। চালের জর্দায় ঘি না দিয়ে উদ্ভিজ্জ তেল দিয়ে তৈরি করতে পারেন। মাওয়া, ঘন দুধ, মোরোব্বা না দিয়ে কমলার খোসা, আঙুর দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করলে কিছুটা ক্যালরি কমে। দই হতে পারে সবচেয়ে ভাল মিষ্টান্ন।
পুষ্টিকে মাথায় রেখে তৈরি করুন ঈদ মেন্যু, যা আপনাকে আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এসআইএস