বর্তমানে মেহেদির সঙ্গে গ্লিটার ও স্টোনের ব্যবহার যোগ করেছে আলাদা সমীকরণ। পছন্দমতো মোটিফ মাথায় রেখে পুরো হাত সাজানো হয়।
হাতের পাতা বড় হলে ভরাট ও বড় আকৃতির নকশা এবং ছোট হাতে এক পাশে লম্বালম্বি ডিজাইন মানানসই। আঙুল ছোট হলে অনামিকা বা মধ্যমা থেকে কবজির দিকে টেনে ডিজাইন করলে ভালো দেখাবে। আর মেহেদি লাগানোর আগে হাত অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এ সময় কোনো ধরনের ময়েশ্চারাইজার লাগানো যাবে না। শিশুদের জন্য মেহেদি পাতার পেস্ট ব্যবহারই ভালো। কৃত্রিম মেহেদি একেবারেই নয়।
এবারের ঈদে কেমন পোশাক পরছেন, সেটাও বিবেচ্য মেহেদির নকশায়। শাড়ি হলে দুই হাত ভরে মেহেদি পরতে পারেন। সালোয়ার-কামিজ যদি হয়, হাতের তলায় বেশি নকশা দিয়ে, ওপরটা হালকা রাখতে পারেন। কুর্তা বা লম্বা কামিজের সঙ্গে কনুই পর্যন্ত মেহেদি না পরাই ভালো।
ফুলস্লিভ কামিজের সঙ্গে হাতের তালু থেকে শুরু করে নখের ধার ঘেঁষে অনেকে ছোট করে ডিজাইন করেন। আর বাকি অংশ খালি রাখেন। স্লিভলেস কামিজ এখন খুব জনপ্রিয়। এর সঙ্গে বাহুতে বাজুবন্ধের মতো সুন্দর আলপনা নকশা এঁকে নেন অনেকে।
কিশোরীরা তাদের গয়নার সঙ্গে মিলিয়েও মেহেদি পরছে। যেমন আংটির সঙ্গে মিলিয়ে চেইনের মতো করে অনেকে মেহেদি পরে। আবার তালুতে কম মেহেদি দিয়ে আঙুল ভরে ডিজাইন করে অনেকেই।
এছাড়া চেক ধাঁচের নকশা, কোণাকুণি করে হাতের আঙুল থেকে শুরু করে কনুই পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে মেহেদি। যেকোন নকশা করতে পারেন লাল মেহেদি দিয়ে। তবে কালো মেহেদির ক্ষেত্রে এখন জ্যামিতিক নকশা বেশি চলছে।
বর্তমানে মেহেদির নকশায় এসেছে ফিউশন। বাইরে কালো মেহেদি দিয়ে আউটলাইন এঁকে ভেতরে লাল মেহেদি দিয়ে ডিজাইন করা যেতে পারে। এতে আর দশজনের চেয়ে আপনাকে খানিকটা আলাদা লাগবে। এছাড়া মেহেদি পরার আগে কিছু ডিজাইন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে চাইলে আপনি নিজেও বের করে নিতে পারেন মন মাতানো ডিজাইন!
ঈদে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের হাতে মেহেদি লাগানোর আনন্দ-উত্তেজনা আরও বেশি। ছোটদের হাত এমনিতেই সুন্দর ও কোমল। পুরো হাত নকশা করে মেহেদি লাগালে অনেক সুন্দর দেখাবে। ছোটদের হাতে মেহেদির নকশায় সহজ-সরল মোটিফ ব্যবহার করাই ভালো। কোনো একটা থিম বেছে নিয়ে সেই থিমে হাতজুড়ে মেহেদি দিলে দেখতে ভালো লাগবে।
অন্যদিকে যাদের সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে, ঈদের দিন তাদের হাতে মেহেদি মানে বিয়ের আমেজটাকে আরও রাঙিয়ে রাখা। নববধূরা পুরো হাতভরে মেহেদি দিলে অনেক সুন্দর দেখাবে। মেহেদির নকশায় বউ সাজের ছোঁয়া রাখাই ভালো। এতে নববধূর মেহেদির সাজ আরও আকর্ষণীয় হবে। আর বয়স্করা নিতে পারেন তাদের পছন্দসই নকশার যেকোন একটি।
মন মাতোনো সব ডিজাইনে মেহেদির গাঢ় রঙের জন্য পেস্টের সঙ্গে চায়ের লিকার ও অল্প লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। মেহেদি পানি দিয়ে না ধুয়ে ঝেড়ে ফেলুন। ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে পানিও লাগানো যাবে না। একটু সরষের তেল হাতে মেখে নিলে পেয়ে যাবেন আপনার মনের মতো রঙ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর