ডায়াবেটিসকে রোগ হিসেবে না দেখে একে জীবনযাত্রায় আরও নিয়মানুবর্তী ও শৃঙ্খলা মেনে চলার অভ্যাস বলা যায়।
ডায়াবেটিস কতো তে...
খালি পেটে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৭ মিলিমোল/লিটার বা তার বেশি হলে এবং খাবার ২ ঘণ্টা পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ১১.১ মিলি মোল/লিটার বা তার বেশি হলে ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
টাইপ
ডায়াবেটিস মূলত ২ ধরনের। টাইপ-১ বা ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়াবেটিস মেলাইটাস যা ইনসুলিন উত্পাদন কম হলে বা না হলে দেখা দেয়। টাইপ-২ বা নন ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়াবেটিস মেলাইটাস যা ইনসুলিন ঠিকমত কাজ না করলে বা উত্পাদন অনুপাতে রোগীর শরীরের ওজন বেশি হলে দেখা দেয়।
হাঁটা
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। সুবিধামতো একটি নির্দিষ্ট সময়ে অন্তত ৪৫ মিনিট একটু বেশি গতিতে হাঁটতে হবে।
খাবার
দই
এতে ক্যালোরি কম থাকে। ফলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে দেয় না।
শিম
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের শুকনো শিম খাওয়া উচিৎ। অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত ক্যানজাত শিম নয়। শিমে গ্লুকোজ উপাদান কম থাকে। ফলে এটি যে কোনো শ্বেতসার জাতীয় খাবারের চেয়ে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অনেক বেশি। শিমে উচ্চহারে আঁশ থাকে। ফলে তা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে রাখে।
বেরি
বেরিজাতীয় ফলগুলোতেও গ্লুকোজ উপাদান কম থাকে। বেরিতে আছে ফ্রু্ক্টোজ যা হজমের জন্য ইনসুলিন দরকার হয় না।
লাল চাল/লাল আটা
সাদা আটা, সাদা চালের ভাত-রুটি রক্তে সুগারর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেতে তাই লাল আটাও লাল চালের ভাত-রুটি খেতে হবে।
আপেল
নিয়মিত একটি আপেল খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। যারা প্রতিদিন আপেল খান তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে আসে ২৭%।
খেজুর
অনেক মিষ্টি কিন্তু খেজুর খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়বে না।
বাদাম
প্রতিদিন যেকোনো ধরনের নিজের হাতের একমুঠ পরিমাণ বাদাম খাওয়ার অভ্যেস করুন।
সবজি
কম চর্বি এবং উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকায় বিভিন্ন ধরনের সবজি যেমন-মটরশুঁটি, টমেটো, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন নিয়মিত খেতে হবে।
সবুজ শাক
প্রতিদিনের খাবারে যেকোনো একটি শাক রাখুন।
ওটস
ওটসের তৈরি যে কোন ধরনের খাবারই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। কাজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনের ডায়েটে এ খাবারটিও রাখুন।
মাংস
ডায়াবেটিস রেড মিটকে(লাল মাংস) রেড কার্ড দেখান। মুরগির মাংস একপিস, পরিমিত মাছ আর দিনে একটি ডিম খেতে পারেন।
নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও নিয়মিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়েও দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
এসআইএস