তিন বছরের মাইশা বাবা মা দু’জনই কাজে সারাদিন বাইরে থাকেন। মাইশার দেখা শোনা করেন একজন আয়া।
রোজার বয়স ছয়, সে স্কুল থেকে ফিরেই প্রথমে মায়ের ফোন নিয়ে বসে যায়। খাওয়া, গোসল বা পড়তে বসানোর একমাত্র শর্তই রোজার আগে তার হাতে ফোন দিতে হবে।
মায়েরাও শুরুতে বাচ্চা কম ঝামেলা করবে ভেবে ফোন দিয়ে ব্যস্ত রাখতে চেয়েছেন শিশুদের। কিন্তু বাচ্চাদের একধনের আশক্তি তৈরি হয়ে যাওয়ায় এখন চাইছেন, এই অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসতে।
স্মার্টফোন ব্যবহারে:
• শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়
• মনোযোগ কমে যায়
• দীর্ঘক্ষণ ফোনের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকায় চোখের সমস্যা দেখা দেয়
• শুয়ে বা বসে ফোন ব্যবহার করে, শারীরিক পরিশ্রম হয়না
• ফলে ওজন বেড়ে যায়
• ইন্টারনেটে আসক্ত শিশুদের মধ্যে আপত্তিকর অনেক বিষয়ের প্রতি আগ্রহ দেখা দিতে পারে
• মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা করতে হবে:
• শিশুর হাতের কাছে ফোন রাখবেন না
• তাকে সময় দিন
• যখন শিশু আপনার সঙ্গে থাকবে তার প্রতি মনযোগ দিন
• শিশুর সঙ্গে খেলাধুলা করুন
• শিশুর সামনে আপনি দীর্ঘ সময় ফোনে ব্যস্ত থাকবেন না
• শিশুকে যদি ফোন হাতে দেনও ইন্টারনেট লাইন বন্ধ করে দিন
• তার পছন্দের রাইম বা কার্টুন ডাউনলোড করে রাখুন
• শিশু ফোন ব্যবহার করার সময় লক্ষ্য রাখুন
• তার কোন বিষয়ে আগ্রহ এটাও খেয়াল করুন।
আজকাল প্রযুক্তির যুগে শিশুদের হয়তো প্রযুক্তি পণ্য থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। তবে ব্যবহারে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এসআইএস