ঘুম
রুম অন্ধকার করে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। অনেক সময় ঘুমানোর পরও সকালে ওঠার পরে মাথা ব্যথা হয়, সারাদিন ঝিমঝিম লাগে।
গাড়ি
হাঁটার সময় নাই, ব্যায়াম করার সময় নাই, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে কষ্ট হয়। আমাদের অজুহাতের কোনো অভাব নেই। এদিকে থাকতে চাই একদম ফিট, স্লিম। তাহলে উপায়? গাড়িটা বাসার নিচে গ্যারেজে না রেখে একটু দূরে কোথাও পার্ক করার ব্যবস্থা করুন। বাসা থেকে বের হয়ে বাধ্য হয়েই পথটুকু হাঁটতে হবে, আর ফেরার সময়ও হাঁটাটা হয়েই যাবে।
খাবার
সঙ্গে সব সময় কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। অপ্রয়োজনে বাইরে খাওয়া বন্ধ করে দিন। নিজের কাছেই কমিটমেন্ট করুন, যেখানেই খাবেন প্রথমে স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করবেন। বাদাম, অন্য শুকনো ফল একটি সুন্দর কৌটায় রেখে দিন। ফল জুস না করে পিস করে খান।
রান্না
প্রতিদিনের রান্নায় আমাদের অনেকটা সময় চলে যায়। সারাদিন পর বাড়ি ফিরে অনেকদিন রান্না করতে ইচ্ছে হয়না। আবার কোনো অসুস্থতার ফলেও রান্না করা হয়ে ওঠেনা। কর্মজীবীদের ঘরে অতিথি এলে অনেক সময় একসঙ্গে অনেক চাপ পড়ে রান্নার। এজন্য যখনই কিছু রান্না করবেন চেষ্টা করুন একটু বাড়িয়ে করতে। ছোট ছোট বক্সে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন এক ভাগ খাবার। অনেকগুলো আইটেম জমে গেলে, সপ্তাহে একদিন রান্না না করে আগেরগুলো দিয়ে চালিয়ে নিন। আবার নতুন করে জমিয়ে রাখুন।
কাজ করুন
বাড়ির সব কাজের জন্য সাহায্যকারীর ওপর নির্ভর না করে, কিছু কাজ নিজেই করুন। বিভিন্ন টুকিটাকি কাজের মাধ্যমে শারীরিক অনুশীলন করা সম্ভব। এজন্য বাড়ি পরিষ্কার, জিনিসপত্র এদিক-ওদিক করা কিংবা রান্না করার কাজ করা যেতে পারে। এতে বাড়ির কাজও যেমন হবে তেমন আপনার শরীরও ফিট থাকবে।
এছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে বিছানাটা গুছিয়ে রাখুন। সারাদিন পরে বাড়ি ফিরে ঘর গোছানো দেখলে মন ভালো হয়ে যাবে।
সকালটা শুরু করুন এক গ্লাস পানি পান করে, সারাদিন হাতের কাছে এক বোতল পানি রাখুন।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্লান করুন। সারাদিনে অন্তত একবার তাকে বোঝান যে আপনি তার জন্যই অপেক্ষায় থাকেন। যেকোনো শখ পূরণের জন্য টাকা জমান। টাকা জমিয়ে ছোট ছোট শখ পূরণে অনেক বেশি আনন্দ পাবেন।
পরিস্থিতি যেমনই হোক, সবার সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলুন। জীবনটাকে সহজ করে সুন্দরভাগে উপভোগ করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এসআইএস