বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিটামিন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া, আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া, ব্লাড লস অ্যানিমিয়া, পারনিসিয়াস অ্যানিমিয়াসহ আরও অনেক ধরনের অ্যানিমিয়া হতে পারে।
রক্তাল্পতা হলে এনার্জি কমে যায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে আসে, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে।
শরীরের রক্তের চাহিদা পূরণ করতে নিয়মিত কিছু খাবার খেলে উপকার পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে:
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি-র অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া আয়রন পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। আমলকী, পেঁপে, বাতাবিলেবু, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, ব্রোকোলি, আঙুর, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।
আয়রন
হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবার হলো- দেশি সুস্থ মুরগির কলিজা, কচু শাক, লাল মাংস, চিংড়ি, পালংশাক, আলমন্ড, বিট, খেজুর। আয়রন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেইড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ বেদানা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
দিনে এক বার হলেও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে টক দই খেলে অ্যানিমিয়ার সমস্যা অনেকটা দূর হয়। মধু আয়রনের একটি ভালো উৎস। আয়রন ছাড়াও মধুতে কপার ও ম্যাঙ্গানিজ আছে। এই উপকরণগুলো শরীরে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে হিমোগ্লোবিন প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। নিয়মিত দুধ, ডিমও খেতে হবে।
এছাড়া আয়ুর্বেদ মতে, তামার পাত্রে সারা রাত পানি রেখে দিন সকালে সেই পানি পান করলে শরীরের মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হয়।
অ্যানিমিয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে অক্সিজেন ও পুষ্টিকর উপাদান উৎপাদনের জন্য হৃদপিণ্ডের প্রচুর পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন হয়৷ এতে হার্ট ফেল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এজন্য অ্যানিমিয়া হলে শুরু থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ জেনে সে অনুযায়ী খাবার ও ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এসআইএস