অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নেন। অনেকে আবার বিশ্বাস রাখেন সঙ্গীর ওপর।
আদর্শ দাম্পত্য সম্পর্কে কোনো আড়াল থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে কোনো সম্পর্ক স্থায়ীভাবে একই রকম থাকবে এটা চিন্তাও করাও ভুল।
স্যোশাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড এমন কী গুরুত্বপূর্ণ, সঙ্গী জানলে কি হবে তাই তো ভাবছেন?
এ সম্পর্কে ফরিদুপর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম বলেন, স্মার্টফোন, ইমেল বা ফেসবুকের পাসওয়ার্ড সঙ্গীকে জানাতে দম্পতিদের তেমন আপত্তি অনেক সময় থাকে না। তবে সমস্যা হয় যদি সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। আর প্রেমের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। আমি বলবো, যেকোনো অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডই একান্ত ব্যক্তিগত, এখানে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ধরনের ডকুমেন্টস, ছবিসহ অনেক তথ্য সংরক্ষণ করা থাকতে পারে। সেগুলো ব্যবহার করে প্রতারণার করাও খুব অস্বাভাবিক নয়। তাই সম্পর্কে কিছুটা গোপনীয়তা রাখলেই তা ভালো থাকে। নিজেকেও নিরাপদ রাখা যায়।
কিছু বিষয়ে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের পাসওয়ার্ড কখনোই কারো সঙ্গে শেয়ার করা ঠিক নয়।
আর ফেসবুকের আইডি থেকে আপনার অজান্তে এমন কিছু শেয়ার করা হতে পারে, যা থেকে হয়ত আপনি বিপদে পড়তে পারেন
শুধু ব্যক্তি আপনিই না, বড় ধরনের হুমকি হতে পারে, আপনার পরিবার বা দেশের নিরাপত্তার জন্যও
এছাড়া ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও যদি কোথাও রাখা থাকে সেগুলো ছড়িয়ে দিলে আপনার জীবন দুর্বিসহ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
সম্পর্কে স্বচ্ছতা, বিশ্বাস, আস্থা সব কিছুই প্রয়োজন। কিন্তু সব কিছু শুধু পাসওয়ার্ড শেয়ার করার ওপর নির্ভর করে না। সঙ্গীর পাসওয়ার্ড জানা যেমন ভালো লাগার। আবার কিছুটা ছাড় দিয়ে তাকে নিজের মতো চলতে দিয়ে আস্থা রাখাটাও ভালোবাসার প্রকাশ।
প্রেমের সম্পর্কের শুরুতেই যদি পাসওয়ার্ড না দেওয়াকে ঘিরে আপনাদের মধ্যে ঝগড়া বা মনোমালিন্য হয় তাহলে ভবিষ্যতে কিন্তু খুব বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। শেয়ার না করে পাসওয়ার্ড আর বিশ্বাস রেখে সম্পর্ক, দু’টিই নিরাপদ রাখুন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২০
এসআইএস/