নিজেকে সাজাতে-নারীর পছন্দের তালিকায় শীর্ষ অনুষঙ্গ গহনা। ক্ষেত্র বিশেষে পুরুষ এবং শিশুরা ব্যবহার করে থাকলেও গহনা মানেই নারী এই কথায় বিশ্বাসী আমরা।
আমাদের দেশে দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে সম্পূর্ণ হাতে তৈরি গহনার চাহিদাও। সাধারণত গহনার মূল উদ্দেশ্য নিজের সৌন্দর্যকে আরো একটু বাড়িয়ে নেওয়া। এক্ষেত্রে হাতে তৈরি গহনার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এই ধরনের গহনা কাস্টমাইজেশন হয় অর্থাৎ যেমন চাহিদা তেমন করে দেওয়া সম্ভব হয়। রং,নকশা, আকার, হালকাসহ গহনা বিভিন্ন অংশে পরিবর্তন করে নেওয়া যায়।
হাতে তৈরি গহনায় মেটাল এবং বিডস ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে থাকতে পারে মাটি, প্লাস্টিক, রেজিন,কাঠ, সিলিকন, রাবার, কাপড়, সুতা, তামা, দস্তাসহ নানা পণ্য। এছাড়া কুন্দন, বিদেশি ম্যাট সেট, দেশি-বিদেশি টেরাকোটা ব্যবহার করেও তৈরি করা হয় নিখুঁত নকশার পছন্দের গহনা।
সাধারণ হিসেবে যারা গহনা পছন্দ করেন এবং গহনার প্রতি টান অনুভব করেন তারা এই ধরনের দেশি গহনার টার্গেট কাস্টমার হয়ে থাকে। কিন্তু ব্যতিক্রম বিষয়গুলোও হয়ে থাকে দেশি গহনার নান্দনিকতার ওপর নির্ভর করে। এই গহনার অনলাইনে প্রচুর চাহিদা রয়েছে, রয়েছে প্রচুর উদ্যোগ। প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন নিজস্বতা তৈরি করা।
হাতে তৈরি মালা, চুড়ি ও কানের দুল দেখতে যেমন সুন্দর, দামেও সাশ্রয়ী। হাতে তৈরি গহনার উপাদানগুলোর ৭০ শতাংশই বিদেশি হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময় চায়না, থাইল্যান্ড এবং ভারত থেকে এসব আসে। হাতে তৈরি গহনাকে অনেকেই বিদেশি বলে থাকেন কাঁচামাল বিদেশি হওয়ার কারণে, এই জিনিসটি একদম ভুল ধারণা। কারণ আমরা জানি যা আমাদের দেশে তৈরি হয় তাকেই দেশিপণ্য বলা হয়। সে হিসেবে কাঁচামাল বাইরের হোক বা দেশি, তৈরি দেশে হচ্ছে বলে এটি সম্পূর্ণভাবে দেশিপণ্য যার প্রচার এবং প্রসার ও বিক্রির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও সম্ভব।
দিন দিন এই গহনার বাজার উন্নত হচ্ছে,চাহিদা বাড়ছে। তরুণীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এখন হাতে তৈরি গহনা। এই পণ্যের প্রচার এবং প্রসার দ্রুত হলে এই পণ্য রপ্তানি করাও সম্ভব। একসময় বিয়ের কনের সাজেও শোভা পাবে হাতে তৈরি গহনা, সেদিন আর বেশি দূরে নয়।
লেখা: মেহজাবীন রাখী
স্বত্বাধিকারী: Rup's Heaven
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
এসআইএস