তিন দিনের জ্বর নিয়ে করোনা পরীক্ষা করতে দেন সুমি। দুই দিনপর ফলাফলে জানা যায়, ডেঙ্গু হয়েছে তার সঙ্গে করোনা।
মহামারি করোনার সময়ে সবাই আতঙ্কে এর মধ্যেই দেখা দিচ্ছে আরেক ভয়াবহ রোগ ডেঙ্গু। এ মুহূর্তে আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে ভাইরাস সংক্রমণ কমিয়ে আনা। যেন নতুন কারো ডেঙ্গু রোগ না হয়। অর্থ্যাৎ সবাই মিলে মশা মারতে হবে। মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে হবে। মশা যাতে কামড়াতে না পারে সেদিকে সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত ডেঙ্গু হলে সাধারণ জ্বরের চেয়ে বেশি সাবধানতা প্রয়োজন।
ডেঙ্গুও করোনার মতোই ভাইরাসজনিত জ্বর। অন্য সব জ্বর, যেমন টাইফয়েড, সাধারণ জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বরের মূল পার্থক্য হলো প্রথম দিন থেকেই জ্বর অনেক বেশি থাকে(১০২-১০৩ ডিগ্রি)। জ্বরের সঙ্গে মাংসপেশি ব্যথা, শরীরের গিঁটে ব্যথা, চোখের পেছনে ও মাথায় ব্যথা, প্রচ- শারীরিক অবসাদ, বমি আর শরীরের কিছু অংশে, বিশেষত চামড়ার নিচে রক্ত জমাট বাঁধা- এ লক্ষণগুলো দেখা যায়। জ্বরে সাধারণত ৫-৭ দিন থাকে। তারপর ধীরে ধীরে রোগীর অবস্থার উন্নতি হতে থাকে।
ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার বিস্তার রোধে যা করতে হবে
যেসব স্থানে মশা জন্ম নেয়, যেমন বাড়ির ছাদ, ফুলের টব, নালা, পানির ট্যাপের আশপাশের এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার স্থান, পানির বদনা, বালতি, হাইকমোড, আইসক্রিম বক্স, প্লাস্টিক বক্স, ডাবের খোসা, টায়ার ইত্যাদি সেসব জায়গা চিহ্নিত করে একদিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে।
মশারি টানিয়ে ঘুমানো উচিত।
করোনাকালে ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কে আরো বেশি জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, এডিস মশাকে কোনোভাবেই আবাস গাড়তে না দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
এসআইএস