নারী শিক্ষার প্রসার, নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি এবং মুসলমান সমাজের অবরোধ প্রথার অবসান হবে, এমনটাই স্বপ্ন দেখতেন বেগম রোকেয়া। তিনি শুরু করেছিলেন বাঙালি নারীর মুক্তির পথ তৈরির কাজ।
পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) নাজমা বেগম এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।
সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে মেডিক্যাল কোর (হেলথ কেয়ার মেনেজমেন্ট) থেকে প্রথম নারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হয়েছেন নাজমা বেগম। । মেডিক্যাল কোরে তিনিই সর্বপ্রথম নারী কর্মকর্তা, যিনি ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন।
নারীরা সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল পদেও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
১৯৯৬ এবং ২০১৯ সালে মেডিকেল কন্টিনজেন্টের নারী কমান্ডার হিসেবে জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশেষ সম্মাননা পান নাজমা বেগম। ৫৬ সদস্যের মেডিক্যাল কন্টিনজেন্টের নারী কমান্ডার হিসেবে তিনি আইভরিকোস্ট যান। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় দালোয়া এলাকায় লেভেল-২ হাসপাতালে শান্তি রক্ষীদের চিকিৎসাসেবা দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই মেডিক্যাল টিম তার নেতৃত্ব নিরলসভাবে কাজ করেছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদানের জন্য এ বছর তাকে দেওয়া হয়েছে বেগম রোকেয়া পদক।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পদকপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা পদক, সনদ ও চেক তুলে দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
এ সময় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে পদক দেওয়া অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) নাজমা বেগমের সঙ্গে নারী শিক্ষায় প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মঞ্জুলিকা চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে মুশতারী শফি (বীর মুক্তিযোদ্ধা) ও নারী অধিকারে অবদানের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার এ বছর বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
এসআইএস