কুয়াশার চাদরে মুড়ে নানা ফুলে সেঁজে আসে শীতকাল। শীতে থরথর সেই কাঁপুনি যেমন কারো কাছে মজার কারো কাছে সাজার।
মানুষ সামাজিক জীব। সে হিসেবে মানুষ হয়ে মানুষ কে সাহায্য করা তাদের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য। এবারের শীতকাল যেন একটু ভিন্ন, শুধু শীত না করোনা যেন একটা নতুন চাপ বা চিন্তা। এমনিতেই প্রবল শীতে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। তবে শীতকালে আমাদের পরিবারের বয়স্কদের বেশি যত্ন নেওয়া উচিত।
আমাদের বাংলাদেশে পথে বসবাস এবং গৃহহীন মানুষের সংখ্যা অগণিত। আমাদের দেশে পথশিশুর সংখ্যাই ৫০ লাখের বেশি। প্রবল শীতে দিনমজুর লোকেরা কাজে যেতে পারে না ফলে তাদের আর্থিক অভাব অনটন দেখা দেয়। শীতে একদিকে গরম কাপড় নেই আবার কাজে যেতে পারে না বলে খাদ্যের অভাব।
সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম সাহায্য করে আসছে। শীতে ত্রাণ ছাড়াও নানা রকম সহযোগিতা করে থাকে। নাগরিক হিসেবেও আমাদের কিছু দায় রয়েছে। আশেপাশে গরীব এবং অসহায় মানুষদের সাহায্য করা। তাদের সচেতন করা। এই করোনাকালীন নানা রকম পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করা। শীতে কাতর হয়ে অনেক মানুষ আগুন জ্বালিয়ে তা থেকে উত্তাপ নেয়। শীতকালে এতটাই কুয়াশা পড়ে যে আশে পাশে থাকা মানুষকেও দেখা যায় না। অনেক সময় দুরগামী যানবাহনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এতে এ ব্যপারে সবাইকে সচেতন করা দরকার। সকলকে এক হয়ে শীতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকেদের পাশে দাঁড়াতে হবে। যারা মানসিক রোগী বা পথে বাস করে তারা যাতে শীতকালীন নানা রকম রোগে আক্রান্ত না হয় সেজন্য তাদের আশ্রয় ও বস্ত্রের ব্যবস্থা করা।
শিশুদের শীতকালীন নানা রকম রোগ হয় এ বিষয়ে সচেতনতা দরকার। এতটাই শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেড়ে যায় যে হাসপাতালেও তাদের জায়গা দিতে পারে না। অনেক শিশু এতে মারাও যায়। শুধু যে শিশু আর বৃদ্ধ তা নয় শীতে সচেতন না হলে সবাই হতে পারে অসুস্থ। শীতে যেন তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। অনেক সময় বাসার পুরাতন বস্ত্র দান করেছি কিন্তু এখানে একজন নয়। একজন একজন করে সকলেরই এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। সরকার নয় জনগণের ও ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। নানা রকম সংগঠন এখন গড়ে উঠেছে যারা আপ্রাণ চেষ্টা করে সাহায্য করার। শীতকাল প্রকৃতিকে সজীবতা দান করে। শীতেই প্রকৃতি প্রাণ সঞ্চয় করে নেয়,শিশির এ ভেজা ঘাসে।
মানুষ কে ভালোবাসলে ভালোবাসা পাওয়া যায়। তাই মানুষ হিসেবে শীতকালে সকলকে সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য।
লেখা: অনামিকা রানী দাস (বাংলানিউজের পাঠক)
জোনাইল,বড়াইগ্রাম,নাটোর।
বাংলাদেশ সময় ১০২৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
এসআইএস