শিমুল-পলাশের দিনে শিউলি-জবা-বেলী সব ফুল একসঙ্গে প্রকৃতি থেকে উঠে এসেছে শাড়িতে। বাঙালি নারীর প্রিয় পোশাক শাড়ি, আর শাড়িটি যদি হয় দেশি কাপড়ে রং তুলির ছোঁয়ায় নানা রঙের ফুলে আঁকা তাহলে তো কথাই নেই।
ক্যানভাসে আঁকা ছবিকে ফুটিয়ে তুলতে দেখি ছয় গজের শাড়ি কিংবা আড়াই হাতের ওড়নায়। দেশিপণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির কল্যাণে এখন হাতে আঁকা পণ্যের প্রসারে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন। হাতে আঁকা পণ্যের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শাড়ি,গহনা, বিছানার চাদর, কুশন কাভারসহ বিভিন্ন পণ্য। দেশ-বিদেশে দেশিপণ্যের বাজার তৈরিতে ভূমিকা রাখছে এই পণ্যগুলো।
খুলনার উদ্যোক্তা ফৌজিয়া ডেইজি হ্যান্ডপেইন্টের পণ্য নিয়ে কাজ করছেন পাঁচ বছর ধরে এবং উদ্যোগের নাম ‘অন্দর’। তিনি জানান, হ্যান্ডপেইন্ট নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সন্তুষ্টির কথা। এটির কারণে তিনি মানসিক প্রশান্তি পান,নিজের ভালোলাগা, ভাবনা ও চিন্তাগুলোকে হ্যান্ডপেইন্টের মাধ্যমে পোশাকে প্রকাশ করতে পারেন। তিনি আরো বলেন, তার অফলাইন আউটলেট থাকা স্বত্ত্বেও তিনি অনলাইনের সুবিধা নিয়েছেন কারণ ই-কর্মাসের প্রকাশ ভঙ্গি এবং প্রচারণা বাধাহীন।
ফৌজিয়া ডেইজির পণ্যের দামও হাতের নাগালে, প্রতিটি পণ্যের দাম ৩ হাজার ৫০০ থেকে ১২হাজার টাকার মধ্যে।
প্রিম'স পেইন্টিংস এবং ক্রিপটন ফ্যাশনের স্বত্ত্বাধীকারী প্রিমা তাসনিম হ্যান্ডপেইন্টের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে হ্যান্ডপেইন্টের কাজ এতো অসাধারণভাবে এগিয়ে এসেছে যে আমার মতে আগামী এক বছরের মধ্যে হ্যান্ডপেইন্ট পোশাক সবার পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে জায়গা করে নেবে।
হ্যান্ডপেইন্টের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করার পেছনে ‘জলরং’ এর স্বত্ত্বাধীকারী নাহিদ সুলতানা বলেন, ভালো লাগা প্রথম ও প্রধান কারণ। এছাড়া হ্যান্ডপেইন্ট শাড়ি বা পোশাকে একজন নারী নিজেকে যতখানি রুচিশীল এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন সেটি অন্য পোশাকে কমই সম্ভব।
এছাড়া এই ক্ষেত্রে এখনও তেমন ভাবে উদ্যোগ নেই বলে নিজের সৃষ্টিশীলতা ও মননশীলতা কাজের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। এক একটি শাড়ি আসলে এক একটি ক্যানভাস রূপে ধরা দেয় বলে জানান নাহিদ সুলতানা।
লেখা: মেহজাবীন রাখি
বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
এসআইএস