ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

রাজকন্যা আয়েশার তালের শাঁস খাওয়া 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২১
রাজকন্যা আয়েশার তালের শাঁস খাওয়া 

এই সময়ে চারদিকে ফলের উৎসব চলে। বিভিন্ন রাস্তার পাশে বসেছে আম, জাম, কাঁঠালের দোকান।

কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস।  

রাজধানীর শান্তিনগর ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের পাশে তালের শাঁস বিক্রি হয়। একটা শাঁস বা চোখ ১০ টাকা। এসব ফলের সৌন্দর্য আর ঘ্রাণে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই চেষ্টা করেন পুষ্টিকর এসব ফলের স্বাদ নিতে।  

কিন্তু কারো কারো শুধু দেখেই চোখ জুড়াতে হয়। এই যেমন ৬-৭ বছরের ছোট্ট আয়েশা সেদিন ৫ টাকার একটা কয়েন দিয়ে দোকানিকে বললো, মামা একটা শাঁস দেন। কিন্তু ৫ টাকায় একটা শাঁস দেবেন না দোকানদার। এতো কমে বিক্রি করলে তার লাভ তো হবেই না বরং লস হবে।  

শিশুটি মন খারাপ করে পাশে দাঁড়িয়ে তাল কাটা দেখছে। দূর থেকে এই দৃশ্য দেখছিলেন তানবীর সিদ্দিকী। তিনি বিক্রেতাকে বলে আয়েশাকে তালের শাঁস কিনে দেন। পরদিনও মেয়েটার খোঁজ তিনি। বিক্রেতাকে বলে রাখেন, শিশুটি এলে তাকে যেন তালের শাঁস দিয়ে দেন।  

এদিন দেখা গেল আয়েশা ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের সামনে ভিক্ষা করছে। এক হাতে ভিক্ষার থালা, অন্য হাতে পানির বোতল। কি রাজকীয় স্টাইল! যেন এক রাজকন্যা! একটু একটু করে পানি খাচ্ছে।  

আয়েশা জানালো তার জীবনের গল্প। তার পরিবারের মা শিরীন মানুষের বাসায় কাজ করেন। বাবা আমিরুল চায়ের দোকানের কর্মচারী। বাবা-মা আর তিন ভাইবোনের সঙ্গে আয়েশা থাকে শান্তিবাগ বস্তিতে।  

যে বয়সে এই আয়েশাদের স্কুলে যাওয়ার কথা। তারা ভিক্ষার থালা হাতে কেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা আসলেই জটিল। যাই হোক জটিল হিসাবে না গিয়ে বরং ছোট একটা কাজ করি। যখন আমরা নিজেদের ঘরের জন্য মৌসুমী ফল কিনি, তখন পাশে তাকিয়ে থাকা ছোট শিশু বা অসহায় বৃদ্ধদেরও একটা অংশ দিতে শুরু করি।  

তবে দেওয়াটা যেন উপহারের মতো হয়, দানের মতো নয়।  

ছবি: তানবীর সিদ্দিকী


বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।