শিরোনাম পড়ে পাগল ভাবার কোনো কারণ নেই। এখানে যা লেখা হয়েছে তা ১০০ ভাগ সত্যি।
হয়তো অনেকে বলবেন বাপের জন্মেও আইসক্রিম ভাজার কথা শুনিনি। তাদের জন্য বক্তব্য হচ্ছে বাপের জন্মে শোনেননি এখন শুনুন। আর বাপের জন্মে যে কাজটি করার চিন্তাও করেননি সেই কাজটি করার চেষ্টা করুন। মানে গরম তেলে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আইসক্রিম ভেজে কুড়মুড় করে খান আর বাড়ির সবাইকে খাইয়ে প্রতিভাবান রাঁধুনি হয়ে যান।
সাবধান! এইটুকু পড়েই আইসক্রিম ভাজতে যাবেন না। বিপদ আছে। কারণ সরাসরি গরম তেলে যদি আইসক্রিম ভাজতে যান তাহলে বিপদে পড়বেন। আর একটু বোকামিও হবে। বাড়ির লোকজন আপনাকেই পাগল বলবে। যাই হোক আইসক্রিম ভাজা খেতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে। তবে সেজন্য দূরে কোথাও যেতে হবে না। নিজের বাসায় বসেই খুব সহজে আইসক্রিম ভেজে খেতে ও খাওয়াতে পারবেন।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাপের জন্মে না শোনা না খাওয়া ‘আইসক্রিম ভাজা’ আসলে কীভাবে ভাজতে হয়।
যা লাগবে :
আইসক্রিম, বিস্কুট বা কর্নফেক্স গুঁড়া, ডিম, চিনি, সিরাপ (যদি পছন্দ করেন) এবং তেল।
১. আইসক্রিম বক্স থেকে গোল গোল করে ৪টা স্কুপ তুলে নিয়ে ট্রেতে রাখুন। এলুমিনিয়াম ফয়েলের ওপর রাখবেন। এরপর ডিপ ফ্রিজে অন্তত ২ ঘণ্টা রেখে দিন যাতে বলগুলো বেশ শক্ত হয়ে যায়।
২. একটা বড় পাত্রে বিস্কুট বা কর্নফেক্স গুঁড়া চিনি মিশিয়ে নিন।
৩. এবার ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম স্কুপ বের করে বিস্কুট বা কর্নফেক্স গুঁড়ার ওপর রোল করে মাখিয়ে নিন। দু-তিনবার রোল করবেন যাতে আইসক্রিমের ওপর একটা মোটা আস্তরণ পড়ে। আইসক্রিম বলগুলো আবার আগের মতো ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।
৪. দুটি ডিম ভেঙে পাত্রে নিয়ে ভালো করে ফেটান।
৫. আইসক্রিম বলগুলো বের করে আবার ডিমে মাখান।
৬. আবারও বিস্কুট বা কর্নফেক্স গুঁড়ার ওপর রোল করুন। শেষবারের মতো বলগুলো ডিপ ফ্রিজে রাখুন শক্ত হওয়ার জন্য।
৭. তেল গরম করতে দিন। তেল অবশ্যই ফুটন্ত গরম হতে হবে। না হলে আইসক্রিম গলে যাবে।
৮. এখন ডিপ ফ্রিজ থেকে তাড়াতাড়ি বলগুলো বের করে খুব অল্প সময় ডুবো তেলে ভাজুন।
৯. রং বাদামি হলেই নামিয়ে তার ওপর সিরাপ ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।
বাপের জন্মে না খাওয়া, নাম না শোনা এই আইসক্রিম ভাজা খেতেও বেশ মজা। ওপরটা মচমচে কুড়মুড়ে, ভেতরটা তাজা বরফঠাণ্ডা। আহ!
তৈরি করেই দেখুন। খেতে খারাপ লাগবে না। আশা করি পরিবারের সবার কাছে আপনি হিট হয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১, অক্টোবর ০৬, ২০২১
জেডএ