আমরা অনেকেই একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকি। এতে অজান্তে নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি।
আসুন জেনে নেই-
স্ট্রোক ইন আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, যেসব ব্যক্তি দৈনিক আট বা তার বেশি ঘণ্টা বসে থাকেন এবং শারীরিকভাবে খুব বেশি সুস্থ নন, তাদের স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি সাত গুণ বেশি। আর যারা চার ঘণ্টারও কম সময় ধরে বসে থাকেন তারা যেন প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ব্যায়াম করেন।
গবেষকরা তাদের এ বিশ্লেষণে কানাডিয়ান কমিউনিটি হেলথ সার্ভে থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক লোকের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ব্যবহার করেছেন। গত ৯ বছরের মধ্যে স্ট্রোকের কোনো ইতিহাস নেই এরকম ৪০ বছর বা এর বেশি বয়সীদের অনুসরণ করেছিলেন তারা।
কানাডার অন্টারিওতে ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল স্কলার লিড স্টাডি লেখক ডা রায়েদ জাউন্ডি বলেন, অলস সময়ে গ্লুকোজ নষ্ট হয় বলে ধরা হয়। এছাড়াও লিপিড বিপাক ও রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয় এবং শরীরে প্রদাহ বৃদ্ধি করে। এই পরিবর্তনগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রক্তনালীর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোর জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক কেরি স্টুয়ার্ট বলেছেন, এমন একাধিক লক্ষণ রয়েছে যা নির্দেশ করে যে কীভাবে স্ট্রোক হতে পারে।
সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে আপনার বাহু, পা বা মুখে দুর্বলতা অনুভব করা। বিশেষ করে যদি আপনার শরীরের একপাশে বিচ্ছিন্ন অনুভূতি হয়। যদি আপনার হঠাৎ কোনো গুরুতর মাথাব্যথা হয় যা আপনার অন্য কোন পরিচিত স্বাস্থ্য অবস্থার সঙ্গে যুক্ত নয়, এটি স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে।
স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমানোর উপায় সম্পর্কে স্টেভার্ট বলেন, অলস সময় হ্রাস করা এবং শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া দাঁড়িয়ে থাকা এবং কম বসা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার শরীরের ছোট পরিবর্তন আনতে পারেন।
হৃদস্পন্দন বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ব্যায়াম করা এবং দ্রুত হাঁটা বা বাইক চালানোর মতো ঘাম হওয়া ক্রিয়াকলাপগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
জেডএ