ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২২
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ এটিকে গুরুত্ব দেয় না।  সময় মতো চিকিৎসা না করালে ধীরে ধীরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে শুধু ওষুধ খেলেই হয় না, যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিকর খাবারও খেতে হয়।

থাইরয়েড হল স্বরযন্ত্রের দুই পাশে থাকা একটি বিশেষ গ্রন্থি। এর কাজ শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমোন (থাইরয়েড হরমোন) উৎপাদন করা। থাইরয়েড গ্রন্থি বা থাইরয়েড হল অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যার অবস্থান গলায়। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে শরীরের জন্য থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে, এর থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরের বিভিন্ন রকমের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে।

এছাড়া পরীক্ষায় থাইরয়েড ধরা পড়লেই, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া শুরু করুন। এ ক্ষেত্রে দেরি না করাই ভাল।

থাইরয়েডের ওষুধ কখন খাবেন?

চিকিত্‍সকদের মতে, সকালে খালি পেটে থাইরয়েডের ওষুধ খেলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। খাওয়ার পরে বা খাবারের সঙ্গে এই ওষুধ খেলে শরীরে সঠিক ভাবে তা শোষিত হয় না। ফলে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না।

হাইপোথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে, যদি এক জন ব্যক্তি সকালে খালি পেটে থাইরক্সিনের সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেন, তা হলে রোগীর শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুটি ডোজে ভাগ করে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে- সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে।

থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার সময় কী কী নিয়ম মেনে চলা উচিত?

১) এই ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে একটা বাঁধাধরা সময় মেনে চলাই ভাল। সকালের ৮টার ওষুধ যেন রোজ ৮টাতেই খাওয়া হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। সকালে ওষুধ খেতে যদি কোনও দিন ভুলে যান তা হলে দুপুরের খাবারের দু’থেকে আড়াই ঘণ্টা পর ওষুধ খেতে পারেন।

২) এই ওষুধ খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে কিছু না খাওয়াই ভাল। এমনকি চা, কফিও না!

৩) থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম রয়েছে এমন কোনও খাবার খাবেন না।

৪) এই ওষুধ খাওয়ার সময় অন্য কোনও সাপ্লিমেন্ট যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম বা ভিটামিনের ওষুধ ভুলেও খাবেন না।

৫) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওষুধটি সারা জীবন ধরে খেয়ে যেতে হয়। তাই পরীক্ষায় হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হলেও ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। মাত্রা বেশি কমে বা বেড়ে গেলে ওষুধের ডোজ ঠিক করতে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।