ঈমানা জ্যোতি কেক বানানো শুরু করেন যখন ৮ম শ্রেণিতে পড়েন তখন। সময়টা সেই ২০০১, সে সময় এখনকার মতো এত সহজ ছিল না সব কিছু।
নিজের উদ্যোগের নাম রাখেন আর্টিস্টিক ডাইন। সে সময় মেলায় অংশগ্রহণ করতেন বেশি।
আর্টিস্টিক ডাইনের সিগনেচার আইটেম স্পাইস কেক। ঈমানা বলেন, যারা মিষ্টি কেক খেতে পছন্দ করেন না বা পারেন না তাদের জন্য একদম পারফেক্ট আইটেম এটি। কেকের মূল্যও নির্ধারণ করেছেন সবার কথা মাথায় রেখে। স্পাইস কেকের সঙ্গে স্যান্ডউইচ কেকের অনেক মিল। তবে এটার স্বাদ একেবারেই ভিন্ন। কেউ মেলাতে পারবে না দুটোর স্বাদকে। স্পাইস কেক নামটাও ঈমানা জ্যোতিরি দেওয়া।
প্রথমে খুব বেশি কাজ করা না হলেও, তার প্রিয় আপু উই এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা আপুর অণুপ্রেরণাতেই স্পাইস কেক নিয়ে আবারো সিরিয়াসভাবে কাজ শুরু করেন ২০১৯ থেকে। । এরপর আর থামতে হয়নি। ছোট বড় সবার ই পছন্দের তালিকায় আছে এখন স্পাইস কেক। অনেকে ভালোবেসে বলেন বার্গার কেক, আবার কেউ বলে চিকেন কেক!
ঢাকা সিটি কলেজ থেকে ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং এ অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করেন। পড়াশোনা শেষ করে দীর্ঘ ৬ বছর চাকরি করেছেন। কিন্তু এখন পুরোপুরি সময় দিচ্ছেন উই আর আর্টিস্টিক ডাইনে। নারীরা যাতে সফলতার সঙ্গে নিজেদের পরিচয় নিয়ে কাজ করতে পারে, সেজন্যই ফেইসবুক ভিত্তিক উইমেন অ্যান্ড ই কমার্স (উই) এর যাত্রার শুরু হয়। উই এর যাত্রা শুরু থেকে তিনি পরিচালক হিসেবে যুক্ত আছেন। আর্টিস্টিক ডাইন বর্তমানে করপোরেট লেভেলেও কাজ করে যাচ্ছে।
ঈমানা জ্যোতি কাজে বরাবরই পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছেন। তবে নারীর পথচলা কিন্তু অতটা সহজ নয়। বাধার সম্মুখীন হয়েও তিনি কখনো থেমে থাকেননি। চেষ্টা চালিয়ে গেছেন স্বপ্ন পূরণের। এতদূর এগিয়ে আসার পেছনে যার কথা না বললেই নয় তিনি হচ্ছেন তার মা। মূলত মা এই কাজে পাশে আছেন বলেই পারছেন এত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন বলে মনে করেন জ্যোতি।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২২
এসআইএস