আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বাস্তবতায় যখন অনেক বেশি ব্যবধান তৈরি হয়, তখন অনেক ক্ষেত্রেই আমরা হতাশ হয়ে যাই। তবে খুব সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই প্রতিটি দিনই হতে পারে সুন্দর।
যা করতে পারি
• ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন প্রার্থনা করুন। দিনের কাজের শুরুতেই সৃষ্টিকতার সাহায্য চান
• প্রতিদিন আধাঘণ্টা হাসি মুখে হাঁটুন
• সকালে নাস্তায় ভরপেট খাবার, দুপুরে মাঝারি আর রাতে খাবেন কম
• প্রোসেস করা খাবারের চেয়ে গাছ থেকে সরাসরি উৎপন্ন খাবার বেশি খান
• পানি ও গ্রিন টি বেশি পান করুন
• সময় আর শক্তির অপচয় করবেন না অযথা আড্ডায়, ঝগড়ায়, লোভ, হিংসা, ভয় আর সেসব কিছুতে যা নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।
• এই মুহূর্তই জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়, যে কাজ করছি সেই কাজই শ্রেষ্ঠ কাজ এটাই ভাবুন।
• কারো প্রতি রাগ, কষ্ট আর ঘৃণায়ও সময় নষ্ট নয়। ক্ষমা করতে শিখতে হবে
• নিজের ও অন্যের প্রতি আপনার দায়িত্বগুলো পালন করুন যতটুকু সম্ভব
• প্রতিটি তর্কে জিততে হবে না। অন্যের যুক্তি পছন্দ না হলেও মেনে নিন কখনো কখনো, সময় বাঁচান
• অতীতকে টেনে বর্তমান নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আপনার সুখের নিয়ন্ত্রণ যেন অন্যের হাতে না যায়
• অন্যের সঙ্গে নিজের জীবনের তুলনাও করবেন না। আপনি তো জানেন না তাদের জীবন আসলেই কেমন করে চলছে
• কে আপনার সর্ম্পকে কী ভাবেছে—এটা আপনার ভাবনার বিষয়ই না
• পরিস্থিতি যেমনই হোক, বিচলিত বা বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। সময়ই সব ঠিক করে দেবে এক সময়
• কর্মক্ষেত্র অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কাজের জন্য আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকে পেছনে রাখা ঠিক নয়। না হলে দিন শেষে আপনিই একা হয়ে যাবেন। আর কাজের অনুপ্রেরণার জন্যও আমাদের সম্পর্কগুলো সুন্দরভাবে রক্ষা করতে হবে
• সবশেষে সুন্দর সারাটি দিনের জন্য ঘুমুতে যাবার আগে সৃষ্টিকতাকে ধন্যবাদ জানাতে পারেন। মনে রাখবেন – আপনি অনেকের চেয়ে ভালো আছেন এখনো।
নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করুন। জীবন আরও সুন্দর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২২
এসআইএস