আমাদের মধ্যে অনেকেরই শীতের সময়ে ঠাণ্ডা পানির কারণে গোসল না করার প্রবণতা দেখা যায়। আবার অনেকেই গরম পানি দিয়ে গোসল করে থাকেন।
জেনে নিন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করার উপকারিতা
ওজন কমাতে চাইলে
বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত হলে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস করুন। আপনি যদি নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তবে সহজেই মেদ কমে যাবে। আবার যাদের শরীরে স্ট্রেচ মার্ক রয়েছে তাদের জন্যও এটি হতে পারে একটি উপকারী অভ্যাস।
সারাদিনের শক্তি
সারাদিন সতেজ ও ফুরফুরে থাকার জন্য ঠান্ডা পানিতে গোসল করা খুব জরুরি। কারণ এতে শরীরের শরীরের প্রদাহ ঠিক থাকে, যে কারণে টানা কাজ করেও আমাদের ক্লান্তি কম আসে। তাই দিনের শুরুতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল আপনি করতেই পারেন।
সক্রিয়তা বাড়াতে
মাথায় ঠান্ডা পানি ঢাললে তা আপনার সক্রিয়তা বাড়াতে কাজ করে। যেকোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সহজ হয়। এতে মন ও চেতনা কাজ করে একসঙ্গে। ঠান্ডা পানি আপনাকে নানাভাবে উপকৃত করবে।
দ্রুত সুস্থ হতে চাইলে
যারা প্রায় সময়েই নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য উপকারী অভ্যাস হতে পারে ঠান্ডা পানিতে গোসল করা। কারণ এই অভ্যাস দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে। নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকে।
মেজাজ উন্নতি করতে পারে
কোল্ড হাইড্রোথেরাপির একটি অ্যান্টি-ডিপ্রেসিভ প্রভাব থাকে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলো দেখা যায় যে, ঠাণ্ডা পানি ত্বকের ঠাণ্ডা রিসেপ্টরগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্কে বৈদ্যুতিক আবেগ পাঠাতে পারে এবং সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করতে পারে। এটি বিষণ্নতার উপসর্গও উপশম করতে পারে।
সহ্যক্ষমতা বাড়ে
নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে বাড়ে সহ্যক্ষমতা। এটি ব্যথা-বেদনা সহ্য করার শক্তিও বাড়ায়। সেইসঙ্গে পেশী এবং গাটের সংযোগস্থলে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। গরমের সময়ে গরম পানিতে গোসল করা মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। কারণ এতে শরীর গরম হয়ে ও কষে যায়।
ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে
ঠান্ডা পানিতে ডুবকি লাগানোর সময় আমরা শ্বাস বন্ধ করে জলের তলায় যাই। যে মুহূর্তে শ্বাস ফুরিয়ে যায়, অমনি হাপুস হুপুস করে অক্সিজেন টেনে নেওয়ার প্রচেষ্টায় লেগে পরি। এমনটা করার সময় আমাদের ফসুফুসের কর্মক্ষমতা মারাত্মক বেড়ে যায়। তাহলে একবার ভাবুন, যারা রোজ গঙ্গা স্নান করছেন অথবা যাদের পুকুরে স্নান করার অভ্যাস রয়েছে, তাদের ফুসফুস কতটা কর্মক্ষম!
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
এনএইচআর