অসহ্য গরম মানেই ঘেমে-নেয়ে একাকার, সারা দিনে পানির পিপাসা, আহারে অরুচি আর ক্লান্তি। তারওপর যদি খাবার আপনার অস্বস্তির কারণ হয় তাহলেতো চরম অশান্তি।
দইয়ের ল্যাক্টোব্যাসিলাস ভালো ব্যাক্টেরিয়াকে উদ্দীপিত করে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক খেলে ডায়েটে দই রাখুন। দই খেলে পেট পরিষ্কার থাকে।
দইয়ের ক্যালসিয়াম কোলনের কোষগুলো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ করে, অন্ত্রেও উপকারি ব্যাক্টেরিয়া নিঃসরণ করে। কোলাইটিস রোগে দই ওষুধ হিসেবে কাজ করে। দইয়ের ব্যাক্টেরিয়া শরীরে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অ্যাবজর্ব করতে সাহায্য করে
ভিটামিন বি-১২ রক্তকোষের গঠনে সাহায্য করে। দই এই ভিটামিন তৈরিতে সাহায্য করে। যারা আমিষ খান তারা খাবারের মাধ্যমে সহজেই এই ভিটামিন পান নিরামিষভোজিরা দইয়ের মাধ্যমে এই ভিটামিন পেতে পারেন।
দইতে আছে প্রাণিজ প্রোটিন মানে প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন। দইয়ে পাওয়া যায় অত্যাবশক অ্যামিনো অ্যাসিড। দুধের প্রোটিন থেকে দইয়ের প্রোটিন সহজে হজম হয়। খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর দুধের মাত্র ৩২ শতাংশ যেখানে হজম হয়, সেখানে দইয়ের ৯০ শতাংশ হজম হয় তাই গরমে বাচ্চা ও বয়স্কদের জন্য দই উপযোগী।
দই রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। হাইড্রোলিক অ্যাসিড, পেপসিন ও রেনিন নিঃসরন করে দই পেটের গ্যাস কমায়। ডায়রিয়া ও কনস্টিপেশনের সমস্যা কমায়। সালাড, স্যান্ডউইচে মেনোনিজের বদলে দই ব্যবহার করুন দইয়ে ক্যালোরি, ফ্যাট, কোলেরস্টরল কম। তাই গরমে খেতে পারেন দইয়ের ঘোল, রায়তা। প্রতিদিন ডায়েটে কিছুটা খেলে প্রেমাচিওর এজিং, জন্ডিস, হেপাটাইটিস প্রতিরোধ করে। শত শত উপকারী উপাদানে ভরপুর দই। তাই শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত দই খান।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
এএটি