লন্ডন: একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা বলেই বক্তব্য শেষ করেছিলেন এমন মন্তব্য করে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার অপচেষ্টা আজ নতুন নয়, সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই এটি শুরু হয়েছে।
লন্ডনে নিজ বাসায় বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এই সাংবাদিক এ মন্তব্য করেন।
তাজউদ্দিনকে নায়ক বানানো থেকেই শুরু
অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদকে মুক্তিযুদ্ধের ‘প্রধান নায়ক’ বানানোর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার এ অপচেষ্টার শুরু- এমন মন্তব্য করে গাফফার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাজউদ্দিনের দূরত্ব সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অপচেষ্টা শুরু হয়।
সদ্য স্বাধীন দেশে জাতির জনকের প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই সেই অপচেষ্টার ধারবাহিকতাই মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতির নামে লেখা আজকের এ বই।
তিনি বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করে, এমন সব অপচেষ্টা কেবল অপচেষ্টাই থেকে যায়। কখনও সফল হয় না।
গাফফার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা বার বার হয়েছে, এখন আবার তা শুরু হয়েছে নতুন করে। কারণ, অপচেষ্টাকারীরা জানে, বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুখে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, একাত্তরের ৭ মার্চ শুধু আমি নই, লাখ লাখ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’ বলে তার বক্তৃতা শেষ করেছিলেন।
এখনও এ ভাষণের আনএডিটেড রেকর্ড আছে। ভাষণটি এখন আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। একটি ব্রিটিশ প্রকাশনা বিশ্বের সেরা ভাষণগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সুতরাং, এটিকে বিতর্কিত করার কোনো অপচেষ্টা সফল হবে না।
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে প্রবীণ-নবীন নেতাদের মতবিরোধ
৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ এই প্রবীণ সাংবাদিক জানান, ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু গিয়েছিলেন নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট পর। সমাবেশে যাওয়ার আগে তার বাসায় আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও তরুণ নেতাদের বৈঠকে ভাষণ কি হবে এ নিয়ে আলোচনা হয়। সিরাজুল আলম খান, আ স ম আব্দুর রব, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ তরুণ নেতাদের দাবি, বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে হবে। আর প্রবীণ নেতারা বলেছিলেন, এখনই নয় ভেবে চিন্তে স্বাধীনতার ঘোষণা। এমনই এক অবস্থায় প্রবীণ-নবীনের মধ্যে সৃষ্টি হয় চরম মতবিরোধ।
গণহত্যা শুরুর পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তান আর্মির
গাফফার চৌধুরী জানান, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ইয়াহিয়া সরকার ওই দিনই গণহত্যা শুরুর পরিকল্পনা করছিল। রেসকোর্স ময়দানের ঠিক সামনেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের ভেতরে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়। সমাবেশের ওপর দিয়ে টহল দিচ্ছিল সামরিক হেলিকপ্টারও। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারদিক থেকে আক্রমণ করে বঙ্গবন্ধুসহ সমাবেশে উপস্থিত জনগণকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানি সেনাদের। এতে করে বিশ্ববাসীকে বলা যেতো যে, শেখ মুজিব যেহেতু বায়াফ্রার মতো এক তরফাভাবে বিচ্ছিন্নতার ডাক দিয়েছেন, সেহেতু বায়াফ্রার মতো এটিও দমন করার কোনো বিকল্প ছিল না পাকিস্তান সরকারের হাতে।
বেগম মুজিব বেডরুমে পাঠিয়ে দেন বঙ্গবন্ধুকে
গাফফার চৌধুরী জানান, রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কি হবে এ নিয়ে যখন সভায় নবীন-প্রবীণ নেতাদের যুক্তি-পাল্টা যুক্তি চলছিল, ঠিক তখন বেগম মুজিব এসে বঙ্গবন্ধুকে বললেন ‘আপনি আপনার রুমে যান। ঘণ্টাখানেক শুয়ে থাকুন, কি বলবেন আপনি নিজেই ঠিক করুন’। বেগম মুজিব ওই সময় অনেকটা জোর করেই বঙ্গবন্ধুকে তার বেডরুমে পাঠিয়ে দেন।
আমার মতো করেই আমি স্বাধীনতার ঘোষণা দেবো
বেডরুমে প্রবেশের আগে বঙ্গবন্ধু নেতাদের আশ্বস্থ করে বলেছিলেন, ‘আমার ওপর ছেড়ে দাও, আমি আমার মতো করেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেবো’।
গাফফার চৌধুরী জানান, ৪০/৪৫ মিনিট পর বঙ্গবন্ধু জামা-কাপড় পরে তৈরি হয়ে তার বেডরুম থেকে বের হয়ে সোজা চলে আসেন রেসকোর্স ময়দানের সেই সমাবেশে। পাকিস্তানি আর্মির বন্দুকের মুখে লাখ লাখ জনতার সামনে শুরু করেন তার বক্তৃতা। ১৯ মিনিট বক্তব্য দেওয়ার পর জয় বাংলা বলে বঙ্গবন্ধু শেষ করেন আজকের বিশ্ব ইতিহাসের অংশ সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ।
৭ মার্চ নয়, ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন ৪ঠা জানুয়ারি
গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘৭ মার্চ নয়, বঙ্গবন্ধু ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন একাত্তরের ৪ জানুয়ারির সমাবেশে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে ঢাকায় ফেরার পর আয়োজিত বিরাট সমাবেশে বঙ্গবন্ধু জয় বাংলার পরে ওই সময় জয় পাকিস্তানও বলেছেন। শুধু জয় পাকিস্তান নয়, জয় সিন্ধু, জয় পাঞ্জাবও বলেছেন ওই সমাবেশে। বক্তব্য শেষ করেছেন জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান বলে’।
তিনি জানান, ওই সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর দলীয় এমপিরা শপথ গ্রহণ করেছিলেন। ৪ জানুয়ারির সমাবেশে জয় পাকিস্তান বলা অযৌক্তিক ছিল না, এমন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা, যাকে ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের ভাবি প্রধানমন্ত্রী বলে সম্বোধনও করেছেন, তার পক্ষে নৈতিক দিক থেকে জয় বাংলার সঙ্গে জয় পাকিস্তান বলাটাই তো স্বাভাবিক।
ইয়াহিয়ার বিশ্বাসঘাতকতাই ৭ই মার্চের সমাবেশের সিদ্ধান্ত
গাফফার চৌধুরী জানান, পরবর্তীতে ইয়াহিয়া খান বিশ্বাসঘাতকতা করে যখন আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিতে গড়িমসি শুরু করে, বাঙালির ওপর শুরু করে অত্যাচার, তখনই বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের সমাবেশ আহ্বান করেন। এই সমাবেশের আগেই হোটেল পূর্বাণীতে দফায় দফায় দলীয় সভা হয় এবং ওই সব সভায়ই আপোসের আর কোনো সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়।
ভাষণে কোথাও পূর্ব পাকিস্তানের নামও উল্লেখ করেননি
উপমহাদেশের সাংবাদিকতা জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি গাফফার চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপোসের আর কোনো সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়ার কারণেই ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তার সেই ঐতিহাসিক ভাষণ শেষ করেন জয় বাংলা বলে। ভাষণ শেষেই শুধু নয়, তার ১৯ মিনিটের পুরো বক্তৃতার কোথাও তিনি পূর্ব পাকিস্তান নামটিও ব্যবহার করেননি। পূর্ব বাংলা বলেছেন।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এই সাংবাদিক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি নিজেরা আড়ালে থেকে এ যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত শীর্ষ ব্যক্তিদের এবার মাঠে নামিয়েছে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার মিশনে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের পুনর্বাসনকারী, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী জিয়াউর রহমানের দুর্নীতিবাজ ছেলেকে দিয়েও নতুন নতুন বিতর্কিত ইতিহাসের পাঠ দেওয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে জাতিকে।
খোন্দকারের বই একই ষড়যন্ত্রের ভিন্ন অংশ
সম্প্রতি জামায়াত মধ্যপ্রাচ্যের অর্থে লন্ডনের একটি প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত তার ভাষায় অখ্যাত এক লেখকের ‘ব্লাক কোট’ নামের একটি বইয়ে বঙ্গবন্ধুর চরিত্র হনন করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তাজউদ্দিনের কন্যা শারমিন রিমি’র সদ্য প্রকাশিত বই এবং তৎকালীন ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খানের নিজেকে ‘৭ মার্চের ভাষণের রচয়িতা’ দাবির বিষয়টি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সর্বশেষ এ কে খোন্দকারের নামে লিখিত বই ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’সহ উপরোক্ত সব ঘটনাই একই সূত্রে গাঁথা। একই ষড়যন্ত্রের ভিন্ন ভিন্ন অংশ মাত্র।
সিরাজুল আলম খানের বিচার হওয়া উচিত
গাফফার চৌধুরী বলেন ‘সিরাজুল আলম খান নাকি দাবি করেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ তিনি তৈরি করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে। কি হাস্যকর কথা’।
প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, ‘সিরাজুল আলম খান, আ স ম আব্দুর রব, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য তরুণ নেতারা স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বঙ্গবন্ধুকে প্রভাবিত করেছিলেন ঠিকই। তাই বলে বঙ্গবন্ধুর নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত ঐতিহাসিক ভাষণটিকে সিরাজুল আলম খান নিজের তৈরি করে দেওয়া বলে যে মিথ্যাচার করছেন, এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। ইতিহাস বিকৃতির অপরাধে তার বিচার হওয়া উচিত’।
সিরাজুল আলম খানের এই নতুন তথ্যও বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার চক্রান্ত ও সেই ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই মনে করছেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা ছিলেন আপোসবাদী
স্বাধীনতার ঘোষণার পক্ষে বঙ্গবন্ধুকে প্রভাবিত করতে তরুণ নেতাদের ভূমিকা স্বীকার করেন গাফফার চৌধুরী। তবে তিনি অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু বাদে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা আপোসবাদী ছিলেন।
তিনি বলেন, আমার বলতে দুঃখ হয়, তাজউদ্দিন ভাইও প্রথম দিকে আপোসবাদী ছিলেন। আর সৈয়দ নজরুলসহ অন্যান্যরা তো ছিলেনই। তাদের কারো কারো জয় বাংলা উচ্চারণ করতেও আপত্তি ছিল। আর এ কারণেই বঙ্গবন্ধু সাহসী, আত্মত্যাগী তরুণ নেতাদের নিয়ে একটি আলাদা ক্যাডার গ্রুপ গড়ে তুলেছিলেন দলের ভেতরে। যাদের দিয়ে তিনি স্বাধীন বাংলার পতাকা তৈরি করেন ও সেটি উত্তোলন করা ইত্যাদি কাজগুলো করিয়েছিলেন।
স্বাধীনতার পর কোনো কোনো তরুণ নেতার চরিত্র পতন ঘটে
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এই প্রবীণ সাংবাদিক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, বঙ্গবন্ধুর এই তরুণ গ্রুপটির কারো কারো দেশ স্বাধীন হওয়ার পর চরিত্রের পতন ঘটে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরই শুধু নয়, কলকাতায় থাকতেই এদের এই পতন শুরু হয়’।
বার্ধক্যই খোন্দকারকে ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে ষড়যন্ত্রীরা
এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খোন্দকারকে একজন ভালো মানুষ উল্লেখ করে গাফফার চৌধুরী বলেন, সম্ভবত উনাকে বার্ধক্যে পেয়ে বসেছে। আর এ কারণেই ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে ব্যবহার করতে পেরেছে।
বিএনপি-জামায়াতের বাইরেও বঙ্গবন্ধুবিরোধী গ্রুপ
বিএনপি-জামায়াতের বাইরেও একটি শক্তিশালী গ্রুপ বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করতে সক্রিয়- এমন অভিযোগ তোলেন তিনি। তবে নাম প্রকাশ না করে প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, এই গ্রুপের একজন তো একটি বইই লিখে ফেলেছেন, যার মধ্যে অনেক সত্য ঘটনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করে অনেক মিথ্যা ঘটনাও সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এই গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে মি. চৌধুরী বলেন, আমি জানি না, হয়তো ড. কামাল হোসেনও এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
খোন্দকারের বইয়ের অনুলিখক ছাত্রদল নেতা
তাজউদ্দিন কন্যা শারমিনকে প্ররোচিত করে যিনি বই লিখিয়েছেন, সেই ব্যক্তিই এ কে খোন্দকারকে দিয়ে ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ বইটি লিখিয়েছেন, এমন তথ্য দিয়ে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘শুনেছি, এ কে খোন্দকারের ডিকটেশন নিয়ে যিনি বইটির অনুলিখন করেছেন তিনি ছাত্রদলের একজন নেতা ও বিএনপির হাফ স্কলার (হেসে) হিসেবে পরিচিত। প্রথম আলোর প্রকাশনা থেকে বইটি প্রকাশ হওয়ায় কথা জানিয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যতোভাবে হেয় করা যায়, এটিই এখন মতিউর রহমানের ব্যবসা!
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৪/আপডেটেড: ০৯০০ ঘণ্টা