লন্ডন: শনিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রিটেনে উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। লন্ডনসহ ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে আয়োজিত একাধিক ঈদ জামায়াতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে।
শনিবার পাকিস্তানী মুসলিম কমিউনিটি ঈদ উদযাপন না করলেও ব্রিটেনের মুসলিম অধ্যুষিত শহরগুলোতে ঈদের বিশেষ আমেজ পরিলক্ষিত হয়েছে। পাকিস্তানী কমিউনিটি রোববার পবিত্র ঈদ উদযাপন করবে।
শনিবার পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় ঈদের আমেজ ছিল অনেকটা বাংলাদেশের মতোই।
নানা রঙের পোশাক পড়ে রাস্তায় ছোট ছোট বাচ্চাদের চলাচল, মসজিদগুলোর সামনে মুসল্লিদের ভিড়, বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের ঘুরতে যাওয়া টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় এনে দেয় ঈদের আলাদা এক চিত্র।
ব্রিকলেন জামে মসজিদ, ইস্ট লন্ডন জামে মসজিদসহ টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার প্রতিটি মসজিদেই এদিন ঈদের একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর প্রতিটি জামায়াতে বিশ্ব মুসলিমের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দোয়া-মোনাজাত।
ব্রিকলেন ও ইস্ট লন্ডন মসজিদে সকাল ৮টা থেকে শুরু করে এক ঘণ্টা পর পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামায়াত। এদু’টো মসজিদেই মূলত কমিউনিটির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা নামাজ আদায় করেন।
প্রবাসীরা নিজ দেশে কোরবানি আদায় করলেও অধিকাংশ পরিবারই অন্যান্য বারের মতো এবারও লন্ডনেও কোরবানি দিয়েছেন।
এদিকে, মুসলিম সম্প্রাদায়ের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উপলক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফিলিপ হামমন্ড পৃথক পৃথক বাণীতে মুসলমান সম্প্রাদায়ের প্রতি ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঈদ শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্রিটেনের উন্নয়নে মুসলিম সম্প্রাদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ৮ অক্টোবর, বুধবার ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে এক ঈদ পার্টিরও আয়োজন করেছেন।
পার্টিতে ইতোমধ্যে ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রাদায়সহ বিভিন্ন কমিউনিটির শীর্ষ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৪