লন্ডন: আমেরিকান বাংলাদেশি ব্লগার অভিজিৎ রায়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে লন্ডনের স্থানীয় বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে বাকরুদ্ধ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
শুক্রবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ১০ ডাউনিং স্ট্রিট ও স্থানীয় বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় তাদের হাতে ছিল 'উই আর অভিজিৎ, আই এম অভিজিৎ', 'অভিজিৎ উইল লিভ এজ লং এজ উই ক্যান স্পিক', 'ইউ মে কিল পিপল, বাট ইউ কেননট কিল আইডিয়াজ', 'হুমায়ুন আজাদ। রাজিব। অভিজিৎ। উইল আই বি নেক্সট?' অভিজিতের ছবিসহ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড।
বাকরুদ্ধ এই অবস্থান কর্মসূচি মূলধারার জনগণের ব্যাপক নজর কাড়ে।
কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা অজন্তা দেব রায় বাংলানিউজকে জানান, অল্প সময়ের নোটিশে তারা এই কর্মসূচির ডাক দিলেও সাড়া পেয়েছেন প্রচুর। তার মতে হুমায়ুন, রাজিবসহ আগের অন্য হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার হয়নি বলেই ঘাতকরা অভিজিৎ হত্যার সাহস পেয়েছে।
অজন্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী হিংস্র দানবদের তাণ্ডব বন্ধে বিশ্ব বিবেককে আমরা জাগ্রত করতে চাই, অভিজিৎ দা নিজের প্রাণ দিয়ে আমাদের এই সত্যিটি বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। ’
এদিকে ব্লগার অভিজিৎ রায়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে সরব ব্রিটিশ মিডিয়া।
শুক্রবার বিবিসি, গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইলসহ ব্রিটেনের প্রধান প্রধান সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রকাশ হয় খ্যাতিমান এই ব্লগারের হত্যাকাণ্ডের খবর।
ডেইলি মেইলের খবরে হামলার শিকার অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রীর ছবিসহ তার পারিবারিক কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি শিবির নেতা ফারাবীর ছবি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘অভিজিত বাংলাদেশে আসলে তাকে হত্যা করা হবে’ এমন হুমকি আগেই দিয়েছিলেন ফারাবী।
বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের ঘণ্টাব্যাপী 'ওয়ার্ল্ড হেভ ইয়র সে' অনুষ্ঠানে লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্লগার আরিফুর রহমান, জার্মানিতে বসবাসরত আসিফ মহিউদ্দিন ও বিবিসি বাংলা বিভাগের সাংবাদিক মানসী বড়ুয়াসহ অন্যদের প্রতিক্রিয়া প্রচার করা হয়।
সংবাদ মাধ্যমগুলোতে অভিজিতের হত্যাকাণ্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিক্রিয়াও ব্যাপক গুরুত্ব পায়।
বাংলাদেশ সময় : ০৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫