ঢাকা: চারিদিকে লাল-সবুজের ছড়াছড়ি। লাউড স্পিকারে বাজছে বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীত।
হারমোনি সপ্তাহ উপলক্ষে নিউক্যাসেল বাংলাদেশি কমিউনিটির (এনবিসি) উদ্যোগে ২১ মার্চ হয়ে গেল বহুজাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসব।
উৎসবে অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভারত এবং গ্রিস-সাইপ্রাসের অভিবাসীরাও অংশ নেন। উৎসবের পৃষ্টপোষকতায় ছিল মাল্টিকালচারাল নিউ সাউথ ওয়েলস।
নিউক্যাসেলের নিউ ল্যাম্বটন কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে এ উৎসবে অসংখ্য বাংলাদেশি অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, এতে অংশগ্রহণকারী ২৮জন শিশুকেই পুরস্কৃত করা হয়।
পরে ছিল ভোজ পর্ব। নৈশভোজের মেন্যুতে ছিল বাংলাদেশি সব খাবার।
এসময় বড় পর্দায় বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস ও সাইপ্রাসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এনবিসির পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন।
ডা. ইকবাল কবিরের উপস্থাপনায় এতে মাল্টিকালচারাল হেলথ ইউনিটের প্রধান ও গ্রিক অভিবাসী সিলভিয়া গ্রে বক্তব্য দেন।
এসময় তিনি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সাইপ্রাস অভিবাসী অধ্যাপক কিপ কিপরিও অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান।
বক্তব্য পর্বের পর শুরু হয় বহুজাতীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এতে অস্ট্রেলীয়দের পক্ষে শিশু শিল্পী নিহান, জো, ক্যাটরিনা, নিকোল, উইলিয়াম এবং ভারতীয়দের মধ্যে নৃত্য শিল্পী আঁচল ও অ্যাঞ্জেল অংশ নেন।
বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন শিশু শিল্পী আদৃতা, লিয়ানা, রিওনা, এবং ফাবিহা, সাগর, আনিকা, সোনিয়া, সাব্বির, রুমা ও জন প্রভুদান।
উৎসবে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন ডা. ফখরুল ইসলাম, নাজমা ইসলাম, ড. আখতারুজ্জামান, শুভংকর বিশ্বাস, ফজলে রাব্বী রুবেল, সেঁজুতি খান, প্রকৌশলী মো. জালাল, ডা. শাহনাজ আক্তার নূপুর, মাইনুল হক পাভেল, নাদিম, তায়েফ, শামীমা হ্যাপি, ডা. মাহফুজা রিফাত, খায়রুল, তানভীর, আসমা মুক্তা, আদনান, মামুন, ডা. শামসির তপু, ডা. মাসুমা খানম, ডা. শাহরিয়ার রানা, ফারিবা এবং আরিফুজ্জামান আরিফ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এবারই প্রথমবারের মতো নিউক্যাসেলে রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে বহুজাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৫